দূষণের জন্য মধ্যরাতে বন্ধ হল দিল্লির (Delhi Pollution) স্কুল কলেজ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Sipreme Court of India) জবাব দিতে হবে সরকারকে।
বুধবার সকালেও দিল্লি রাজধানী এলাকার (Delhi NCR) বাতাসের গুণমানের কোনও উন্নতি হল না। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ বা এসএএফএআর (SAFAR), বুধবার সকালের আপডেটে জানিয়েছে, দিল্লিতে বাতাসের মান (Delhi Air Quality) আগের মতোই খারাপ রয়েছে। এদিন সকালে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ৩৭৯! দূষণ বন্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে এদিন ফের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Suptreme Court of India)। দিল্লি এবং কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে জবাব দিতে হবে। অন্যদিকে দূষণের ঝুঁকি এড়াতে, মঙ্গলবার রাতে দিল্লির কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা সিএকিউএম (CAQM) সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
সিএকিউএম মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত দিল্লি ও তার আশপাশের শহরগুলির সমস্ত স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখতে হবে। শুধুমাত্র অনলাইন শিক্ষাদান চালু থাকতে পারে। দিল্লিতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পণ্য়ের ট্রাককে দিল্লি শহরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া, ওইদিন পর্যন্ত জাতীয় রাজধানী এলাকায় রেল, মেট্রো, বিমানবন্দর এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্মাণ ছাড়া, আর সমস্ত ধরণের ছাড়া নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা (Haryana), রাজস্থান (Rajasthan) এবং উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh), ২১ নভেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন (Work From Home)। দিল্লিতে বেসরকারি অফিসগুলিতেও এই নিয়ম মানতে হবে। সেইসঙ্গে বন্ধ রাখা হচ্ছে অর্ধেকের বেশি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও। রাজধানী এলাকার ১১ টি তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের মধ্যে চালু থাকবে মাত্র ৫টি। প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত কার্যকলাপ বা জাতীয় গুরুত্ব সম্পন্ন প্রকল্পগুলিকে সিএন্ডডি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল এবং ডাস্ট কন্ট্রোল নর্ম মেনে করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে মঙ্গলবার, কমিশন, দূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে। তারপরই এই নির্দেশাবলী জারি করা হয়। জাতীয় রাজধানী এলাকার যে সমস্ত শিল্প যা এখনও অননুমোদিত জ্বালানি ব্যবহার করছে, সেগুলিকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলিকে। যথাক্রমে ১০ বছর এবং ১৫ বছরের বেশি পুরানো কোনও ডিজেল এবং পেট্রোল চালিত গাড়ি যাতে রাস্তায় না চলে তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। দিল্লি সরকারকে দ্রুত পর্যাপ্ত সংখ্যক সিএনজি বাস সংগ্রহ করে রাস্তায় নামাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি এবং আশপাশের রাজ্যগুলির মুখ্য সচিবদের বলা হয়েছে, এই নির্দেশাবলীর বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে। আগামী সোমবার এই বিষয়ে কমিশনের সামনে তাদের একটি প্রতিবেদনও দাখিল করতে হবে।