শুক্রবার পারিস্তান সেনেটে ৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পরিকল্পিত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছেন স্বাধীন সেনেটর দিলাওয়ার খান।
পিছিয়ে যাবে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। শুক্রবার সেনেটে তেমনই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রবল ঠান্ডা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে পাকিস্তানে। সেই কারণে সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুমদনে তা পাশ হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ঠিক ছিল পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।
শুক্রবার পাকিস্তান সেনেটে ৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পরিকল্পিত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছেন স্বাধীন সেনেটর দিলাওয়ার খান। পাকিস্তান সংসদের উচ্চকক্ষে এই প্রস্তাব প্রবলভাবে সমর্থন পেয়েছে। তবে তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঙ্গি ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ - নওয়াদ এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে। তবে বেশ সংখ্যক সমর্থন পাওয়ায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
সেনেটর খান বলেন, দেশের বেশিরভাব এলাকায় বর্তমানে প্রচন্ড ঠান্ডা রয়েছে। আবহাওয়া ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ কম হতে পারে। এটি যেমন একটি কারণ অন্য একটি কারণ হল পাকিস্তানের নিরাপত্তা উদ্বেগ। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল নয়। জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম ফজল-এর প্রধান ফজলুর রহমানের ওপর হামলায় রাজনীতিবিদদে টার্গেট করা হচ্ছে। আর সেই কারণে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও জটিল হচ্ছে।
এদিন তিনি পাকিস্কতানের বালুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন নিরাপত্তা বাহিনীকেও আক্রমণ করা হচ্ছে।
ডন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তকানের নির্বাচন কমিশন ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণায় অটল থাকার জন্য সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও শুধুমাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতার উপস্থিতিতে এই রেজুলেশনটি পশ করা হয়েছিল।
সিনেটের এই পদক্ষেপের ফলে দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়বে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাকিস্তানের স্কট এক্সচেঞ্জে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। শেয়ার বাজার ইতিমধ্যেই ৮০০ পয়েন্ট পড়ে গেছে।