সংক্ষিপ্ত

হাফিজ সইদ একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছে। যার নাম পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ (PMML)। জঙ্গি সংগঠন সেই রাজনৈতিক দলের আড়ালেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে লড়াই করবে।

 

পাকিস্তানের জঙ্গি ও মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদের একা এবার পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছে। যদি এই ভোটে সে জয়লাভ করে তাহলে পাকিস্তানের আইনপ্রণয়নকারীদের মধ্যে একজন হবে।

হাফিজ সইদ একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছে। যার নাম পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ (PMML)। জঙ্গি সংগঠন সেই রাজনৈতিক দলের আড়ালেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে লড়াই করবে। পাকিস্তান প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের জন্যই প্রতিটি জাতীয় ও প্রাদেশিক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। সেখানেই প্রার্থী হয়েছে পাক জঙ্গি হাফিজ সইদের ছেলে তালহা সইদ। পাকিস্তান প্রশাসন জানিয়েছে তার নির্বাচনী কেন্দ্র NA-127, অর্থাৎ লাহোর। হাফিজ সইদের নেতৃত্বাধীন জামান -উদ-দাওয়া হল লস্কর -ই -তৈবা প্রায় সমকক্ষ সংগঠন। এটি ২০০৮ সালে মুম্বইতে ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছিল। এখানেই শেষ নয় হাফিজ সইদের সংগঠন সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ণের জন্য অভিযুক্ত। ২০১৯ সাল থেকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই জেলে বন্দি হয়ে রয়েছে সে।

রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী হল হাফিজ সইদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মাথার দাম দিয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তার তৈরি রাজনৈতিক দল। PMML এর নির্বাচনী প্রতীক চেয়ার। একটি ভিডিও বার্তায় PMML এর সভাপতি খালিদ মাসুদ সিন্ধু বলেছে তার দল বেশিরভাগ জাতীয় ও প্রাদেশিক বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সে আরও বলেছে, 'আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই দুর্নীতির জন্য নয়, জনগণের সেবা করতে প্রস্তুত আমরা।' PMML নেতা আরও বলেছে, পাকিস্তানকে তারা একটি ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

খালিদ মাসুদ সিন্দু লাহোর NA-১৩০ থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছে। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ সুপ্রিমো ও পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সিন্ধু প্রার্থী হয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের তার যোগাযোগ অস্বীকার করেছে। পাশাপাশি নিজের হাফিজের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই বলেছে দাবি করেছে। একেই বলে ভোট বড় বালাই!

আরও পড়ুনঃ

PM Modi: বড়দিন উপলক্ষ্যে মোদীর বার্তা, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত খ্রিস্টান সম্প্রদায়

Telecommunications Law: রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে আইনে পরিণত হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন বিল ২০২৩

criminal Bill: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতির সঙ্গে সঙ্গেই আইনে পরিণত তিনটি ক্রিমিনাল বিল