অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

 শরীরের প্রধান তিন অংশে সংক্রমণের পরও রোগী জিতলেন   সাড়া দিলেন হাসপাতালের রাতদিনের একমো চিকিৎসায়  ভেঙে দিলেন পুরোনো সব কনসেপ্ট, বছর ৫৪-র ওই ব্য়াক্তি  বয়েস হলেও কোভিডকে হারিয়ে এভাবেও ফিরে আসা যায় 

কোভিড যুদ্ধে জয়। তবে এ এক বড় সড় কোভিড যুদ্ধ। হার না মানার ঘটনা। শরীরের প্রধান তিন অংশে কোভিড সংক্রমণের পরও রোগী জিতলেন। সাড়া দিলেন একমো চিকিৎসায়। ভূল প্রমাণ করলেন আরও এক কোভিড রোগী পুরোনো সব কনসেপ্টকে। বয়েস হলেও কোভিডকে হারিয়ে লাইফ টাইম অ্য়াচিভমেন্ট পাওয়া যায়। আর তাই করে দেখালেন বছর চুয়ান্নর পেশায় দুধ ব্যবসায়ী এক ব্য়াক্তি। 

জানা গিয়েছে, টানা ১২ দিনের জ্বর সহ ভয়ানক শ্বাসকষ্ট  হচ্ছিল তাঁর। শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছিল।  পরীক্ষা পর রিপোর্ট আসে কোভিড পজিটিভ। কিডনি, ফুসফুসের সঙ্গে মস্তিষ্কেও করোনার প্রভাব দেখা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত ফুসফুস, হদপিণ্ড যখন স্বাভাবিক কাজ করা বন্ধ করে দেয়, যখন ভেন্টিলেশন দিয়েও কাজ হয়না, তখন 'একমো' দিয়ে শরীরের সেই নির্দিষ্ট অর্গ্যানকে বিশ্রাম দেওয়া হয়।  বছর চুয়ান্নর ওই ব্যাক্তির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তাই শহরের এক বেসরকারি কোভিড হাসপাতালের একমো টিম তাঁর শুশ্রুসায় উঠে পড়ে লাগে। টানা ১২দিন একমো চলে। চলছিল  ডায়ালিসিসও। অবশেষে সাড়া দিতে শুরু করেন তিনি। ১ মাস পর ছুটি পান। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর এখনও চলছে ডায়ালিসিস।

হাসপাতালের একমো টিমের তরফে জানানো হয়েছে, ' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ১০-১২ টি একমো মেশিন তিনি অর্ডার করছেন। করোনা চিকিৎসায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এই যন্ত্রটি, সেটা এখন প্রতি মুহূর্তেই বোঝা যাচ্ছে।' তবে এবারেও কিন্তু কোভিড যুদ্ধ জয়ে সেরা প্রমাণ করল নিজেদের, সেই শহরেরই এক বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল। তাই মুকুটের মর্যাদায় তাঁরাও ভূষিত।