সংক্ষিপ্ত
- সল্টলেকের বিই ব্লকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য়
- জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিল মা ও মেয়ে
- খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ
- মৃতা, কলকাতার পুলিশ কর্তার প্রাক্তন স্ত্রী ও শাশুড়ি
চারিদিকে যখন করোনা নিয়ে আতঙ্ক,সল্টলেকে তখন উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য সল্টলেকের বিই ব্লকে। ইতিমধ্য়েই খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ। দুদিন ধরে তাদের এক আত্মীয় ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কেউ ফোন তোলেনি। পুলিশ আসতেই ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে।
আরও পড়ুন, ৮ জুন থেকে খুলছে কলকাতা মেডিক্যালের আউটডোর, কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় সংক্রমণ রুখতে বৈঠক
সূত্রের খবর, সল্টলেক বিই ব্লক ৭১ নং বাড়ির নাম নীল নির্জন। নেম প্লেটে লেখা পি.দে। আর সেই বাড়িরই তালা ভেঙে বৃদ্ধা মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ। শনিবার রাতের বেলা প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী শর্মিষ্ঠা পুরকায়স্থ এবং তাঁর মা পাপিয়াদের মৃতদেহ দরজা ভেঙে উদ্ধার করে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ। বেশ কয়েকদিন আগে শর্মিষ্ঠা পুরকায়স্থ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। কিন্তুপরবর্তী সময়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন অত টাকা খরচা করে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ। শর্মিষ্ঠা পুরকায়স্থের মায়ের কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল তিনিও চলাফেরা করতে পারতেন না। দুদিন ধরে তাদের এক আত্মীয় ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ আসতেই ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে।
আরও পড়ুন, নিম্নচাপের জেরে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে
সল্টলেক বিই ৭১ 'নীল নির্জন'-ওই আবাসনের নীচে একটি রেস্টুরেন্ট। সেখানেই কর্মরত সুস্মিতা নামের এক মধ্য়বয়স্কা মহিলা জানিয়েছেন,' আমি যতটুকু জানি ওই বাড়ির মা ও মেয়ের পেশার- সুগার ছিল। মাঝে খুব অসুস্থ থাকায় তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সেখানে তাঁদেরকে নিয়ে গেলে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তাঁরা বাড়িতে ফিরে আসেন। গতকাল ওনাদের বাড়িতে আত্মীয়দের আসতে দেখেছি। পাশপাশি ওই বাড়িতে মোটর চালানো শব্দ কোনও কিছু আওয়াজ না পেয়ে সন্দেহ হয় আমাদের। বোধহয় কিছু ঘটেছে। পাশপাশি কাজের জন্য় যে এসেছিল সেও ডেকে ডেকে সাড়া না পাওয়ায়,আমাদের জিজ্ঞাসা করে। তারপরেই এই মৃত্য়ুর ঘটনা জানতে পারি। তিনি আরও জানান, মেয়ে এবং মা তারা দুজনেই শুধু এই বাড়িতে থাকতেন। এবং তাঁর স্বামী রাজ্য়ের সবচেয়ে বড়সড় পুলিশ অফিসার। কিন্তু কোনওদিন তাঁকে আসতে দেখিনি। শুনেছি, ওনাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন, ৩ মাসের বৃহস্পতির কাছে হার মেনেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, ফোটো তুলতে গেলেই তার যত লজ্জা
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দুটি পাঠিয়েছে আরজিকর হাসপাতালে। এছাড়া পুলিশ খতিয়ে দেখছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু নাকি অন্য কোনও বিষয় আছে। এছাড়া আরও একটি বিষয় দেখছে আত্মহত্যা করেছে কিনা এই সমস্ত ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পিটিএসে নতুন করে আক্রান্ত আরও ৮, করোনা মুক্ত হয়ে কাজে ফিরলেন ১০০ পুলিশ কর্মী
বাংলাদেশ ফেরৎ ২ যাত্রী করোনা পজিটিভ, কোয়ারান্টিনের পর আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর
কলকাতা মেডিক্যালের ছাদের কার্নিশে বসে করোনা রোগী, সামলাতে গিয়ে নাজেহাল কর্তৃপক্ষ
করোনা মোকাবিলায় বড়সড় উদ্য়োগ, পরিষেবা বাড়াতে ৫০০ ডাক্তার-নার্স নিচ্ছে রাজ্য