কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া তদন্ত নয়, কল্যানী এমস দুর্নীতি মামলার তদন্তে CID-কে সতর্ক করল আদালত

সোমবার কল্যাণী এমসের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি তে হাই কোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সতর্ক করল তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে। প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীর তরফে অভিযোগ করা হয় যে, কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়াই  কল্যাণী এমসের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করছে সিআইডি।

Ishanee Dhar | Published : Aug 22, 2022 9:27 AM IST

কল্যানী এমস দুর্নীতি মামলা নিয়ে সিআওডিকে সতর্ক করল আদালত। কলকাতা হাই কোর্ট্বের পক্ষ থেকে তদন্তকারীদের স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয় যে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও ধরনের তদন্ত করার আগে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। 
সোমবার কল্যাণী এমসের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি তে হাই কোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সতর্ক করল তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে। প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীর তরফে অভিযোগ করা হয় যে, কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়াই  কল্যাণী এমসের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করছে সিআইডি। কল্যাণী এমসের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সমস্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তঁদের বিরুদ্ধে যে কোনও তদন্ত করার আগে সিআইডির উচিত কেন্দ্রের কাছে অনুমতি নেওয়া। কিন্তু সিআইডি অনুমতি ছাড়াই তদন্ত শুরু করেছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের আইনজীবীর। 

আরও পড়ুনশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গণ্ডগোল, মুশির্দাবাদে ৬ শিক্ষকের চাকরি বাতিল কলকাতা হাইকোর্টের 


সোমবারের শুনানিতে এই যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে সিআইডিকে তদন্তের বিষয় সতর্ক করল আদালত। এর কারণ হিসেবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে বিচারপতি জানায়, দুর্নীতি দমন আইন ১৭(এ), ১৯৮৮ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এক্ষেত্রে অভিযুক্তরা যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী তাই তদন্তের আগে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। 

আরও পড়ুনঘরে বসেই মাইনে নেন 'দিদিমণি' সুকন্যা, অনুব্রতর মেয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ


উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়ক ও একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়। ‘বেআইনি ভাবে চাকরি বণ্টন’ সহ ঘনিষ্টদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেআইনিভাবে প্রাধান্য দেওয়ার মত একাধিক অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির মূলত বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এবং বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দিকেই। উল্লেখ্য, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়েই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর চাকরি পাওয়ার অভিযোগ নীলাদ্রি-কন্যা মৈত্রী দানার বিরুদ্ধে। 

আরও পড়ুনকলকাতা হাইকোর্টের অন্দরে আইনজীবী বনাম বিচারপতির ঝগড়া যেন তিন শালিকের গল্প!

আরও পড়ুনবাবাকে থাকতে দিলেও খেতে দেবেন না, বিবাদী পক্ষের এমন কথা শুনে তাজ্জব বিচারপতি

Share this article
click me!