"সিবিআই-কে বিশ্বাস করেছিলাম, কিন্তু ওরা ন্যায় দিতে পারেনি", সেটিং তত্ত্বে ফের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দিলীপ

সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কের কাছে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁর রবিবারের 'সেটিং' মন্তব্য ঘিরে বিটর্কের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি আমার দুঃখের কথা বলেছি। নির্বাচনের পর আমার ৬০ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

Ishanee Dhar | Published : Aug 22, 2022 6:45 AM IST / Updated: Aug 22 2022, 01:12 PM IST

"সিবিআই-এর সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হয়ে গিয়েছে", ফের বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। রবিবারের পর সোমবারও ‘সেটিং’ তত্ত্বেই অনড় থাকলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন ফের অমিত শাহ-এর সিবিআই-এর সচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। এমকি সিবিআই-এর থেকে ন্যায় বিচার মেলেনি বলেও অভিযোগ দিলীপের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় তিনি এও বলেন, ‘‘সিবিআই কার, তাতে আমার কিছু এসে যায় না। সিবিআই দেশের একটা সংস্থা। তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ন্যায় পাইনি। ইডি প্রমাণ করেছে তারাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এজেন্সি।’’
সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কের কাছে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁর রবিবারের 'সেটিং' মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি আমার দুঃখের কথা বলেছি। নির্বাচনের পর আমার ৬০ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। সিবিআইকে তার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল কোর্ট। ওরা কত জনকে সাজা দিয়েছে? এফআইআরই করতে পারেনি। আমরা তো সিবিআইকেই বিশ্বাস করেছিলাম। ওরা ন্যায় দিতে পারেনি।’’ 

আরও পড়ুনস্বাধীনতা দিবস নিয়ে তৃণমূল নেতাদের কোনও উচ্ছ্বাস নেই: পতাকা তুলে আক্ষেপ দিলীপ ঘোষের 


রবিবার সিবিআই এর থেকে ইডি অনেক বেশি বিশ্বস্ত বলে দাবি করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। শুধু তাই নয় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন সিবিআই-এর বেশ কিছু আধিকারিক বিক্রি হয় গিয়েছে। কেউ লাখে, কেউ কোটিতে। সেটা বুঝতে পেরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। যার ফলে এবার বিপাকে তৃণমূল। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে সিবিআই-এর মত ইডিকে বশ করা অত সহজ হবেনা বুঝেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল। 

আরও পড়ুন “সবে তো মাত্র ২টো উইকেট পড়েছে”, রাজ্যে ফিরেই শাসকদলের দিকে উপহাসের তীর দিলীপের 


দিলীপের এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। তৃণমূল তো বটেই পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। কারণ, প্রথমত দিলীপ যে সংস্থার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন, সেই সিবিআই কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারা বাংলায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমেছে। দ্বিতীয়ত, এই কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। 
তবে এই সব হিসেবনিকেশের ধার ধারেন না দিলীপ। সোমবারও নিজের বক্তব্যে অনড় থাকলেন তিনি। 

আরও পড়ুনদিলীপ ঘোষের সম্পত্তি কত? বিজেপি নেতার জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর অর্থের পরিমাণ

Read more Articles on
Share this article
click me!