রায় বিপক্ষে যেতেই বিচারপতিকে করোনার অভিশাপ, আইনজীবীকে জবাব তলব হাইকোর্টের

  • বিচারপতিকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার অভিশাপ আইনজীবীর
  • রায় বিপক্ষে যেতেই মামলায় হেরে যাওয়ার পরই ঘটান এই কাণ্ড
  •  এবার  অভিযুক্ত আইনজীবীর কাছে জবাব তলব হাইকোর্টের 
  • কেন তিনি এমন খারাপ আচরণ করেছিলেন, হলফনামা দিতে হবে 

Ritam Talukder | Published : Aug 13, 2020 12:00 PM IST / Updated: Aug 13 2020, 08:53 PM IST

রায় বিপক্ষে যেতেই মামলায় হেরে যাওয়ার পর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে করোনায়  আক্রান্ত হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন এক আইনজীবী। ক্ষুব্ধ বিচারপতি পাল্টা ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷  বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে ঘটনাটি ঘটে ৷ অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম বিজয় অধিকারী৷ তবে সে গুড়ে বালি। সেই অভিশাপ ধোপে টেকেনি। এখন পর্যন্ত সুস্থই রয়েছেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। তবে সেই ঘটনায় এবার ওই  অভিযুক্ত আইনজীবীর কাছে জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চ। একজন আইনজীবী হয়ে কী কারণে তিনি একজন বিচারপতির সঙ্গে এমন খারাপ আচরণ করেছিলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে সেটা তাঁকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন, করোনা যোদ্ধাদের মৃত্যুতে পরিবারের কাউকে চাকরি,নতুন সিদ্ধান্ত মমতা সরকারের

 
প্রসঙ্গত চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে তখন করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এবং লকডাউনের কারণে শুধুমাত্র খুব জরুরি মামলাগুলি শোনা হচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টে৷ ২৫ মার্চ থেকে সেই মামলাগুলিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি হচ্ছে তখন৷  অভিযুক্ত আইনজীবী বিজয় অধিকারীর মক্কেল ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ না করায় তাঁর একটি বাস নিলাম করার সিদ্ধান্ত  নেয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক৷ ওই নিলামের প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে ওই আইনজীবী  আদালতের  ওই আইনজীবী  আদালতের দ্বারস্থ হন৷ বিষয়টি জরুরি বলে আদালতের কাছে দাবি করেন তিনি৷ এদিকে বাসটি গত ১৫ জানুয়ারি ব্যাঙ্ক বাজেয়াপ্ত করেছে।  এই তথ্য় উঠে আসার পরেই জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি করতে রাজি হয়নি আদালত৷  আর বিচারপতি এই রায় পড়া শুরু করতেই ক্ষুব্ধ আইনজীবী বার বার তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন৷   টেবিল চাপড়ে, মাইক্রোফোনে আওয়াজ করে রায়-দানে বাধা দেওয়ার রীতিমত চেষ্টা করেন ওই আইনজীবী৷ 

আরও পড়ুন, কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রায় ১৯ লাখ বিল মেডিকার, রিভিউ-র নির্দেশ কমিশনের

নিজের নির্দেশনামায় বিচারপতি দত্ত লিখেছিলেন, 'আইনজীবী বিজয় অধিকারীকে বার বারই এমন আচরণ করা থেকে  বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়৷ কিন্তু তিনি আমার ভবিষ্যৎ তিনি ধ্বংস করে দেবেন,  শুধু তাই নয়, আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হব বলেও তিনি অভিশাপ দেন৷ বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, ওই আইনজীবীর আচরণকে নিন্দনীয় বলার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে তা ফৌজদারি অপরাধের  অপরাধের সামিল বলেই মনে করেছেন বিচারপতি৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে।  এদিকে ঘটনাচক্রে এরপরই বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি দত্ত। ফলে বিজয় অধিকারীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাটি স্থানান্তরিত হয় প্রধান বিচারপতির টিবি রাধাকৃষ্ণনের এজলাসে। সেই মামলায় এবার জবাব দিতে হবে  আইনজীবী বিজয় অধিকারীকে।

 

    

 

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

Share this article
click me!