এসএসকেম-এ ক্যানিংয়ের গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল সভাপতির মৃত্যু। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর গভীর রাতেই মৃত্যু হয় মহরম শেখের।
এসএসকেম-এ (SSKM) ক্যানিংয়ের গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল সভাপতির মৃত্যু। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর গভীর রাতেই মৃত্যু হয় মহরম শেখের। উল্লেখ্য, রাতেই কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। তবুও চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল সভাপতি মহরম শেখের (TMC Leader) । এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্তরা পলাতক। সঠিক কী কারণে এই খুন সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ (Canning Police)।
রাতেই দলীয় কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার খবর পেয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ দাসও ছুটে আসেন হাসপাতালে। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা মহরম শেখের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। বুকের ডানদিকে গুলি লাগা অংশ থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। কোনওভাবেই সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। যে কারণে বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি শুরুই করা যায়নি। তবে চিকিৎসকরা সবভাবে চেষ্টা করেছেন। তবুও শেষ রক্ষা হল না বলেই বার্তা বিধায়কের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মাস কয়েক আগেই মহরমে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছিল। সেবার তাঁর পায়ে গুলি লেগেছিল। বিষয়টি যুব তৃনমূলের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এ বিষয়ে কোনওরকম পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই এ দিনের ঘটনা ঘটলো বলে অভিযোগ করেছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ দাস।
আরও পড়ুন, Farm Law:'এটা তোমাদেরই জয়', কৃষি আইন বাতিল ঘোষণার পরেই কৃষকদের শুভেচ্ছা, BJP-কে তোপ মমতার
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বাড়ির সামনেই কার্যত মহরম শেখ দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে জানা যায়।প্রত্যক্ষ দর্শীদের দাবি বাড়ির সামনেই বসে ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। আচমকাই একটি অটো দ্রুত গতিতে এসে তার সামনে থামে। চলে গুলি। অটোয় চার জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাদের মধ্যে তিন জনকে মিয়ারুল, হাফিজুল ও রফিক বলে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনিও। জানা গিয়েছে, দুটি গুলি লাগে মহরমের শরীরে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।
অপরদিকে, আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে যান বিধায়ক শওকত মোল্লা। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে আততায়ীদের মধ্যে কয়েকজনকে চিনতে পেরেছে মহরম ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেই সূত্র ধরেই আততায়ীদের খোঁজ করছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে