করোনায় মৃত কলকাতা পুলিশের সাত পরিবারকে চাকরি, ঘোষণার অপেক্ষায় 'পুলিশ দিবস'

  • এখনও পর্যন্ত করোনা নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের 
  • করোনা-যোদ্ধা পুলিশের পরিবারকে দেওয়া হবে চাকরি 
  • মঙ্গলবার পুলিশ দিবসেই হবে সেই বিশেষ ঘোষণা 
  • ইতিমধ্যেই পরিবারকে সরকারি ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে 

Asianet News Bangla | Published : Aug 31, 2020 8:04 AM IST / Updated: Aug 31 2020, 01:42 PM IST


সংক্রমণ থেকে শহরকে মুক্তি দিতে গিয়ে তাঁরা হয়েছেন শহীদ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম কাজ করে চলেছেন কলকাতা পুলিশের এই করোনা যোদ্ধারা। তবে অনেকেই মাঝ পথে থামতে হয়েছে। প্রিয় শহরকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁরাই গিয়ে চির ঘুমের দেশে। আর এবার সেই তাঁদের মধ্যে সাতটি পরিবার থেকে এক জন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। মঙ্গলবার পুলিশ দিবসেই হবে সেই বিশেষ ঘোষণা।

আরও পড়ুন, কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন কমে এবার মাত্র ৮, স্বস্তিতে শহরবাসী, দেখুন ছবি

সূত্রের খবর,  কলকাতা পুলিশের অফিসার, কনস্টেবল থেকে শুরু করে সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনা নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তাঁদের মধ্যে সাতটি পরিবার থেকে এক জন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, পুলিশকর্মীদের ভূমিকাকে সম্মান জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই মঙ্গলবার পুলিশ দিবসেই হবে সেই বিশেষ ঘোষণা। বাকি এক করোনা যোদ্ধার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। অন্য এক জনের স্ত্রী সরকারি চাকরি করেন। এই দু`জনকে বাদ দিয়ে বাকি সাতটি পরিবারের জন্য সরকারি নিয়ম মেনে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তবে মৃত কোভিড যোদ্ধাদের সকলের পরিবারকেই কাল সম্মান জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কোভিড মোকাবিলায় সরকারি কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারের এক জন সদস্য চাকরি পাবেন। শুধু চাকরি নয়, নিয়ম মেনে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।  মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের মৃত কর্মীদের চাকরির কাগজপত্র দেওয়া হলেও তাঁদের পরিবারের হাতে সরকারি ১০ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন, প্রতি ১০ মিনিটে মিলবে কলকাতা-মেট্রো, পরিষেবা শুরুর আগেই প্রস্তুতি তুঙ্গে


মঙ্গলবার যে পুলিশ আধিকারিক বা কর্মীদের পরিবার চাকরি পাচ্ছেন, তাঁরা হলেন- কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ইকুইপমেন্ট সেলের ওসি অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায়, শিয়ালদহ ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টেবল দিলীপ সর্দার, ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ডের সিভিক ভলান্টিয়ার সুব্রত দাস, হেস্টিংস থানার কনস্টেবল কৃষ্ণকান্ত বর্মণ, চারু মার্কেট থানার কনস্টেবল দেবেন্দ্রনাথ তিরকি, চিৎপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর তপনচন্দ্র কুমারের পরিবারের এক জন করে সদস্য। তবে এসি (সেন্ট্রাল) উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২১ অগস্ট মারা যান। তাঁর স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি। ফলে উদয়শঙ্করবাবুর পরিবারের ঘোষণা এ দিন হবে না বলে পুলিশের একটি সূত্রের খবর। পাশাপাশি জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারের স্ত্রী সরকারি চাকরি করেন। ফলে তিনি এই মুহূর্তে চাকরি পাবেন না।  জানা গিয়েছে, তবে পরে তাঁর মেয়েকে এই চাকরি দেওয়া হবে।

 

      

 

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

Share this article
click me!