'হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে স্কুল-ফি বৃদ্ধি', প্রতিশ্রুতি ভাঙতেই প্রিন্সিপালের কুশপুতুল দাহ

  •  ফি বৃদ্ধিতে উত্তপ্ত দোলতলা সুধীর মেমোরিয়াল স্কুল চত্বর 
  • প্রিন্সিপালের কুশপুতুল দাহ করলেন অভিভাবকরা 
  • ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করেন 
  • এদিকে মুখ খুলতে নারাজ স্কুলের প্রিন্সিপাল পলাশ সাহা 

Asianet News Bangla | Published : Sep 3, 2020 10:24 AM IST / Updated: Sep 03 2020, 04:03 PM IST

শুভজিৎ পুততুন্ডঃ-  প্রতিশ্রুতি দিয়েও না রাখার অভিযোগ। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তপ্ত দোলতলা সুধীর মেমোরিয়াল স্কুল চত্বর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বর্ধিত হারে টিউশন ফি ও অ্যাডমিশন ফি নেওয়ার প্রতিবাদে স্কুলের প্রিন্সিপালের কুশপুতুল দাহ করে আন্দোলনে নামেন অভিবাবকরা। 

আরও পড়ুুন, কলকাতায় আচরণবিধি পাঠাল কেন্দ্র, আজ রাজ্য-মেট্রোর জরুরি বৈঠক


প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে,' স্কুলের ৮০ শতাংশ ফি দিতে হবে'। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বর্ধিত হারে টিউশন ফি ও অ্যাডমিশন ফি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুধীর মেমোরিয়াল স্কুলের বিরুদ্ধে। এরপরেই আন্দোলনে নামেন ওই স্কুলের অভিভাবকরা। প্রতিবাদে স্কুলের প্রিন্সিপালের কুশপুতুল দাহ কর হয় এবং প্রিন্সিপালের ছবি  সম্বলিত পোস্টার স্কুলের দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য,  মে মাসে মধ্যমগ্রামের দোলতলায় সুধীর মেমোরিয়াল নামে এই বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিবাবকরা করোনাকালে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করেন। এই সময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অভিভাবকদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ও হয়। সেখানে কেবলমাত্র টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নেবেন না বলে আশ্বস্ত করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাস না কাটতেই ভোল বদল প্রিন্সিপাল ও স্কুল কর্তৃপক্ষের। চড়া হারে এডমিশন ফি ও টিউশন ফি নিতে নিতে শুরু করে সুধীর মেমোরিয়াল স্কুলের কর্তৃপক্ষ। এরপরেই আর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি অভিভাবকরা।

আরও দেখুন, আলুর বাজারে আগুন, চড়া দাম অন্য সবজিতেও, কলকাতার বাজারে ইবি-র হানা


পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় স্কুলের প্রিন্সিপাল পলাশ সাহার সঙ্গে আলোচনায় বসারও আবেদন জানান অভিবাবকরা। কিন্তু স্কুলের প্রিন্সিপাল পলাশ সাহা আলোচনাতেই যেতে রাজি নন বলে দাবি অভিভাবকদের। তাই বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা ফের তীব্র আন্দোলনে নামেন। স্কুলের গেটে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ।  যদিও এই আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সুধির মেমোরিয়াল স্কুলের প্রিন্সিপাল পলাশ সাহা। তাঁর দাবি, 'শিক্ষকদের বেতন থেকে শুরু করে সমস্ত খরচ তুলতে হয় ছাত্রছাত্রী দের থেকে। তাই ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাকে চলতে হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, করোনা আবহে রাজ্য তথা দেশজুড়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সবাই যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অনেকে বেতনের অধিকাংশ কমে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত মাত্রায় ফি বাড়ায় তা অভিবাবকদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ইতিমধ্য়েই ফি বৃদ্ধি সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদের পথে নেমেছে- দমদম সেন্ট মেরি এন্ড ডে স্কুল,  একে ঘোষ মেমোরিয়াল, নারায়নপুর সেন্ট জোন্স স্কুল, জিডি বিড়লা, তারাতলা নেচার পার্কের বিড়লা ভারতী স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল,অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুল, হরিয়ানা বিদ্যামন্দির, অশোক হাই সেকেন্ডারি স্কুল,  ক্যালকাটা পাবলিক স্কুল, বউবাজারের সেন্ট মাইকেল স্কুল সহ বেহালা ওরিয়েন্ট ডে স্কুলের অভিভাবকরাও।  

 

         

 

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

Share this article
click me!