বড়তলা থানা এলাকায় সৎমেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করেছিল তার বাবা। এরপর ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসতেই অভিযুক্তকে লাইটপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধোর করে এলাকাবাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হুমকি ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সূত্রের খবর, বারো বছরের ওই নাবালিকা আট সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। চলতি সপ্তাহে শিশু কল্যাণ সমিতির অনুমতি পাওয়ার পরে আরজিকরের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। আপাতত ওই নাবালিকাকে হোমে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পুলিশি হেফজতেই রয়েছে।
আরও পড়ুন, 'আত্মহত্য়া'র হুমকিতে অবশেষে ভর্তি, টিকল না জীবন, নতুন বিপাকে পরিবার
প্রসঙ্গত, কিশোরীর বাবা তাঁকে ও তাঁর মাকে ছেড়ে ১০ বছর আগেই অন্যত্র চলে যান। এরপর ওই কিশোরীর মা বড়তলা থানা এলাকায় সঞ্জয় পাত্র নামে এক যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সেই কিশোরী মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে সঞ্জয়। ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোরীর সৎ বাবাকে লাইটপোস্টে বেঁধে বেদম মারধোর করেন। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায়।
নির্যাতিতার মায়ের দাবি, যখন তিনি অভিযুক্তের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন, তখন মেয়ের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। তখন সঞ্জয়ের আচরণে কোনও খারাপ দিক দেখতে পাননি। তবে মাস দুই আগে মেয়ের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রথম সন্দেহ হয়। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেই পরীক্ষা হয় ওই কিশোরীর। রিপোর্ট সামনে আসলে জানা যায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই তাঁকে খুব বকাবঝা করেন নির্যাতিতার মা। প্রথম ভয়ে কিছু বলতে না পারলেও এবার মুখ খোলে কিশোরী। সে জানায়, মাকে খুনের হুমকি দিয়ে তাঁর সৎ বাবা সঞ্জয় পাত্রই তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করেছে।
আরও পড়ুন, করোনা সংক্রমণে ফের নতুন রেকর্ড রাজ্যের, একদিনে আক্রান্ত প্রায় ১২০০
অপরদিকে, নিয়ম মতো এর পরে ওই নাবালিকাকে ফাস্ট ট্র্যাক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সমকক্ষ শিশু কল্যাণ সমিতির সামনে পেশ করা হয়। ফের তার শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয় সেখান থেকে। পুলিশ এর পরে আরজিকর থেকে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দেয়। থানা সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই শিশু কল্যাণ সমিতি গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিয়েছে । বড়তলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, 'মায়ের সঙ্গে থাকা অবস্থায় এরকম ঘটনা ঘটেছে । তাই ধরা হতে পারে, মা তাঁর মেয়েকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সে ক্ষেত্রে নাবালিকাকে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত শিশু কল্যাণ সমিতি হোমে রাখার নির্দেশ দিতে পারে।' অপরদিকে, অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন সোনাগাছিতে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি।
পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে
মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক সেনা কর্তার, ফোর্ট উইলিয়ামের শোকের ছায়া
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস
কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের