বেহালা কাণ্ডে নয়া মোড়। দমকল আধিকারিকরা যাওয়ার আগেই বেহালায় পর্ণশ্রী এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। সোমা মিত্রের বয়স ৬৮ এবং তার মেয়ে ৪৪ বছর। আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু এরপরেই উঠে এল হাড় হিম করা নতুন তথ্য। তদন্তে নামে হোমিসাইড। তারপরেই জানা যায় যে এটি দুর্ঘটনা নয় ,আত্মহত্যার ঘটনা।
আরও পড়ুন, আদ্রতা বেড়ে হাঁসফাস অবস্থা, নিম্নচাপে জেরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
প্রসঙ্গত, শনিবার সাড়ে বারোটা নাগাদ বেহালা পর্ণশ্রীর ওই বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে গিয়েছে প্রায় গোটা বাড়ি। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেই মনে করা হয়। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় রোডের দোতলা বাড়ি থেকে হঠাতই বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসেন পাড়ার লোকজন। ততক্ষণে আগুন গ্রাস করে নিয়েছে বাড়ির দোতলা। লেলিহান শিখা পৌঁছে যায় একতলাতেও। দরজা ভেঙে একতলার বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে দোতলায় কার্যত ঝলসে যান বৃদ্ধা সোমা মিত্র ও তাঁর মেয়ে কাকলি। স্থানীয়রা বলছেন বাড়িতে থাকত দুটি পরিবার। দোতলায় মেয়ে ও বোন ছবিরানিকে নিয়ে থাকতেন সোমা মিত্র। আর একতলায় থাকেন ছবিরানির ছেলে হীরক ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী।
আরও পড়ুন, বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল এলাকা, অর্জুন সিংয়ের গাড়ি ভাঙচুর
জানা গিয়েছে, মৃতার ছেলে আগের মাসেই ক্যান্সারে মারা যায়। তারপরেই নেমে আসে গভীর শোক। এদিকে দীর্ঘ লকডাউনে তার সঙ্গেই আর্থিক অনটনে জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি। আগুন লাগার পর প্রথমে দুর্ঘটনা মনে হলেও তদন্তে নামে হোমিসাইড। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরের দরজার ভেতর থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল। এ ছাড়াও ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে কেরোসিনের ফাঁকা ড্রাম। এরপরেই দুর্ঘটনা নয় ,আত্মঘাতী হয়েছেন পর্ণশ্রীর মা ও মেয়ে বলে অনুমান পুলিশের।
সব রেকর্ড ব্রেক, রাজ্য়ে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৮৯৫
করোনায় আক্রান্ত বিধাননগরের ডিসি ট্রাফিক, উপসর্গ না থাকায় সপরিবার হোম কোয়ারেন্টাইনে
মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক সেনা কর্তার, ফোর্ট উইলিয়ামের শোকের ছায়া
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস
কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের
কলকাতায় একদিনে চিহ্নিত প্রায় ২০০ বাড়ি, কনটেইনমেন্ট জোন বৃদ্ধির কারণ বললেন মুখ্যসচিব