ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী মহানগর, কলকাতা-বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় পাড়ি পন্যবাহী জাহাজের

  • কলকাতা থেকে ভায়া বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় পাড়ি পন্যবাহী জাহাজের 
  • প্রথম বারে ৪টি কন্টেনারে স্টিলের রড এবং ডাল পাঠিয়েছে ভারত 
  •  কম সময়ে কম খরচে বড়সড় পরিষেবা দিতে চলেছে এই কার্গো'
  • জানান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার 
     

Asianet News Bangla | Published : Jul 16, 2020 11:33 AM IST / Updated: Jul 16 2020, 05:26 PM IST

ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল কলকাতা। ভারত -বাংলাদেশ প্রটোকল রুটের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করে, ত্রিপুরার উদ্দ্যেশ্যে প্রথমবারের মত জলপথে কন্টেনারবাহী জাহাজ পাঠাল ভারত। বৃহস্পতিবার দুই দেশের উপকূলীয় চুক্তির অধীনে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে, ভারতের পন্যবাহী জাহাজ।

আরও পড়ুন, দিল্লি থেকে দিব্য়ি এল করোনা পজিটিভ যুবক, বিমানবন্দরে 'রিপোর্ট' দেখাতেই বিপাকে আধিকারিকরা

প্রথম বারের মত ট্রায়াল জাহাজ চলাচল করায় মাত্র ৪টি কন্টেনার পাঠিয়েছে ভারত। যার দুটি কন্টেনারের রয়েছে রড এবং অন্য দুটিতে রয়েছে ডাল। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে তার শেষ গন্তব্য হবে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নিজের দফতরের থেকে ভার্চুয়ালই সবুজ পতাকা দেখিয়ে এই ট্রানজিট কার্গোর প্রথম যাত্রার শুভসূচনা করেন ভারতের জাহাজ মন্ত্রী মনশুখ মান্দাভিয়া। কলকাতা থেকে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট বা  শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। 

আরও পড়ুন, কঠিন সময়ে সুবর্ণ সুযোগ, ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনে কর্মী নিয়োগ

 বিনীত কুমার জানিয়েছেন,' ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কলকাতা বন্দরের সঙ্গে নিয়মিত ৩টি জাহাজ চলাচল করে, তবে ভারতের উত্তর পূর্বের উদ্দ্যেশ্যে পন্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা শুরু হল বৃহস্পতিবার থেকে। এতে ভারতের উত্তরপূবের রাজ্যগুলিতে পন্য পরিবহন অনেক সহজ হয়ে যাবে। আগে ত্রিপুরা যেতে হলে আসাম পেরিয়ে অনেক বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে হতো। সময়ও লাগত অনেক বেশি। কিন্তু আমরা এবার যখন কলকাতা থেকে কার্গোকে চট্টগ্রাম পোর্ট নিয়ে যাব, সেখান থেকে ত্রিপুরা আগরতলার দূরত্ব মাত্র ২০০ কিমি। তাই এটা একটু নতুন শুরু। ভারত-বাংলাদেশ সরকারের বন্ধুত্বই এর সব থেকে প্রমাণ। বাংলাদেশ সরকার আমাদের এই অনুমতি দিয়েছে। চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যাতায়াত করে ওই কার্গো, ত্রিপুরাকে পরিষেবা দেবে। এবার যেমন স্টিলের রড এবং সঙ্গে ডাল যাচ্ছে। তবে আরও অনেক জিনিসও যায়। যেমন  ভেজিটেবল অয়েল, চাল ইত্যাদি। তাই এটা অবশ্য়ই বলতে পারি যে, এটা একটা কম সময়ে কম খরচে বড়সড় পরিষেবা দিতে চলেছে।'

আরও পড়ুন, করোনা যুদ্ধে পরাজিত আরও ১ এসবিআই কর্মী, আতঙ্কে মমতাকে চিঠি ব্য়াঙ্ক কর্মীদের

অপরদিকে, ভারতীয় পণ্য খালাসের জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোট ৭ ধরনের মাশুল আদায় করবে। এই ৭টি মাশুল বাবদ বাংলাদেশ কন্টেনার প্রতি ৪৮ থেকে ৫৫ ডলার পাবে। এই মাশুলের বাইরে চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল যুক্ত হবে । আর সড়কপথে পণ্য পরিবহন ভাড়া পাবে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে এ সংক্রান্ত পরিচালন পদ্ধতির মান বা এসওপি সই হয়েছিল। নানা জটিলতা শেষে দেড় বছরের বেশি সময় পর ভারতীয় পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

 

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

  মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

 করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক সেনা কর্তার, ফোর্ট উইলিয়ামের শোকের ছায়া

  অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের

Share this article
click me!