করোনায় মৃত্যু সন্দেহে আটকে গেল সৎকার, দমদমের মতো পরিস্থিতি মেদিনীপুরে

  • দমদমের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুর
  •  করোনা সন্দেহে মৃতের দেহ দাহ নিয়ে সমস্যা
  •  ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের  কাঁথিতে
  •  সৎকারের উদ্দ্যেশ্য়ে দেহ এসেছে পুণে থেকে 
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 26, 2020 11:41 AM IST / Updated: Mar 26 2020, 07:24 PM IST

দমদমের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুর। দমদমে করোনায় মৃতের দেহ পোড়ানো নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল নিমতলা ঘাট। মুখ্য়মন্ত্রী বলা সত্ত্বেও দেহ সৎকারে বাধা দিয়েছিল এলাকার বাসিন্দারা। এবার করোনা সন্দেহে মৃতের সঙ্গেও  করা হল সেই ব্যবহার। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের  কাঁথিতে। 

মহিলা যাত্রীর করোনা উপসর্গ, বাস নিয়ে সোজা বেলেঘাটা আইডিতে ঢুকে পড়ে চালক

সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এই সন্দেহে কোথাও মৃতদেহ সৎকার করতে দিচ্ছে না এলাকার লোকজন। যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে মৃতের পরিবারকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার অন্তর্গত ঘাঁটুয়া গ্রামের বাসিন্দা অক্ষয় রাউল কর্মসূত্রে সস্ত্রীক মহারাষ্ট্রের পুনাতে থাকতেন। গত রবিবার বছর তেইশের ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। 

করোনা রুখতে সুচিত্রা সেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ছবি.

খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন একটি গাড়ি ভাড়া করে ওই মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে এলে গ্রামবাসীরা সৎকার করতে বাধা দেয়। নিরুপায় হয়ে মৃতের পরিবারের লোকজন মৃতদেহটি সৎকারের জন্যে কাঁথি শহরের একটি শ্মশানে নিয়ে এলে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। মৃতের পরিবারের লোকজনের কথায় পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, করোনায় সংক্রমিত হয়নি সে। কিন্তু কে শোনে কার কথা ! কোনও কথা শুনতেই নারাজ এলাকাবাসী। সকলেরই সন্দেহ ওই যুবক হয়তো করোনায়  আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাই ৮০ হাজার টাকা দিয়ে দেহ অ্য়াম্বুলেন্সে করে আনা হয়েছে মেদিনীপুরে।

কথা না শুনে দেদার পেটাচ্ছে পুলিশ, মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে গেল চিঠি..

অতীতে একই চিত্র ধরা পড়েছে কলকাতার নিমতলা ঘাঁটে। যেখানে রাজ্য়ের প্রথম করোনায় মৃতের দেহ দাহ করতে বাধা দেয় খোদ শ্মশানঘাটের কর্মীরা। এমনকী হাসপাতাল থেকে করোনায় মৃত শুনে গাড়ি করে দেহ আনতে চাননি কেউ। শেষে বিধাননগর পুরসভার গাড়ি করে ওই দেহ নিমতলা শ্মশানে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মধ্য়রাত হয়ে গলেও দেহ সংকারে একের পর এক বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকী পুলিশ এলেও দেহ দাহ করতে দেয়নি লোকজন। 

Share this article
click me!