দিলীপের নিশানার পর পাল্টা তোপ সৌগতর। বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নাম না করে তৃণমূলের সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর বেলা গড়াতেই দিনের উত্তর দিনেই দিলেন তৃণমূলের সৌগত রায়।
দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেছেন, 'যেই নেতাদের কাটমানির সম্পর্ক আছে তাঁদের বাড়িতে ইডি দিয়ে ছাপা মারানো উচিত। এরকম তো ইডি সিবিআই দিয়ে ভয় অনেক দিলীপ ঘোষ দেখিয়েছেন। কিছু হয়নি। হেরে যাওয়ার পর এদের লজ্জা হয়না। এখনও উনি বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। দেবাঞ্জন দেবের ঘটনা দুঃখজনক এই নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং এ নিয়ে দিলীপ ঘোষকে মাথা ঘামাতে হবে না। তবে এখানেই শেষ নয়, 'সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্রডরা ঘুরে বেড়াচ্ছে' এই প্রসঙ্গে বলেন সৌগত রায় পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, 'এসব তো হেরে যাওয়ার পর সবাই বলে। ওর বলার কি গুরুত্ব আছে, সুতরাং এসব বাজে কথা অবাস্তব অবান্তর কথা। হেরে গেছে। পদত্যাগ করা উচিত ছিল পদত্যাগ করেনি। এখনও ক্ষমতা আকড়ে রয়েছে। ওই সকাল বেলা হাঁটে আর বক্তব্য রাখে। ওদের আর কোনও গুরুত্ব নেই। হেরে যাওয়া পার্টির বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই।'
আরও পড়ুন, টিকা না পেয়ে হারাতে বসেছে কাজ, ভ্যাকসিন-দুর্নীতিতে শিরোনামে এবার রাজারহাট
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ এদিন নাম না করে তৃণমূলের সরকারকে নিশানা করে বলেন, ওনার দায়িত্ব উনি তো সরকারে আছেন। মানুষ ওনাকে অধিকার দিয়েছে এটা দেখার। এত বড় স্ক্যাম হচ্ছে এত বড় দুর্নীতি হচ্ছে। ফ্রডরা ঘুরে বেড়াচ্ছে সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সেটা ওনার দেখার দায়িত্ব, বিজেপির দেখার দায়িত্ব নয় ।বিজেপি তো কমপ্লেইন করবে মানুষকে ঠকাচ্ছে। এটা বিরোধী পার্টি হিসাবে বলার দায়িত্ব। আমরা তুলে ধরব সরকারের দায়িত্ব সত্য সামনে নিয়ে আসা, দোষীদের সাজা দেওয়া। তিনি আরও বলেছেন, তৃণমূলের যে সমস্ত দুর্নীতি বেরোচ্ছে, এই যে অপশাসনের যে সমস্ত কুকীর্তি বেরোচ্ছে, এটা বিরোধীরা বলতে পারছে না। বিরোধীদের মেরে জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কেস দিচ্ছে। আমাদেরকে গভর্নর যখন বলতে বাধ্য হয়েছেন, তখন তারা এর উত্তর দিতে পারছেন না। ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন তাড়াবার চেষ্টা করছেন। যদিও এই প্রসঙ্গ উঠতেই বিরোধীদের উপর হামলা এবং রাজ্যপাল প্রসঙ্গ উঠতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সৌগত রায়। তিনি বলেছেন,' রাজ্যপাল যদি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয় সেটা আমরা বলবো। আর প্রতিবাদ করলে আমরা মারধর করায় বিশ্বাস করিনা আর করিও না। গণতান্ত্রিক ভাবে আমাদের বিরোধিতা করলে আমাদের কোনও প্রবলেম নেই।
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস