করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। দিনে দিনে এই মারণ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, পাবলিক প্লেসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সংস্থাগুলি বাড়ি থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি প্রায় গোটা দেশ লকডাউনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলে, বাড়ির বাইরে বেড়নোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই এই মূহূর্তে বাড়ি থেকে কাজ করাই নিরাপদ বলে মনে করছে গোটা দেশ। তবে অফিসের কাজ বাড়ি থেকে করার জন্য প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্মচারীদের। অফিসগুলি বন্ধ থাকার কারণে বড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। ঘরে বসেই সারতে হচ্ছে অফিস, দোকান, ব্যঙ্কের ফান্ড ট্রান্সফার-সহ আরও যাবতীয় কাজ।
লক ডাউনের জেরে তাই ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। সেই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে প্রচুর পরিমানে নেটওয়ার্কের সমস্যা। এর ফলে বহু এলাকায় মানুষকে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। বিশেষ করে যারা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন তাঁদের ইন্টারনেট স্পিড কম হওয়ার কারণে প্রবল সমস্যার সম্মুখীণ হতে হচ্ছে। এই সমস্যার ফলে কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভিডিও স্ট্রিমিং। কোনও মতে জরুরি কাজ সারতে হচ্ছে তবে তার জন্য লেগে যাচ্ছে বহু সময়। ঘরবন্দী অবস্থা থাকার কারণে নেটওয়ার্ক পরিষেবার হেল্পলাইন নম্বরও কাজ করছে না অনেক জায়গায়। তবে সে সমস্ত কথা তো আর অফিস শুনবে না। এমন অবস্থায় আপনাকে যখন বাড়ি থেকে অফিসের কাজ সারতে হচ্ছে। জেনে নিন ঠিক কোন পদ্ধতিতে আপনি ঠিক রাখতে পারবেন ইন্টারনেট স্পিড। ও কাজ সারতে পারবেন বা সার্ফ করতে পারবেন ভিডিও।
আরও পড়ুন- কীভাবে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবেন পরিবার ও নিজেকে, জেনে নিন খুঁটিনাটি
এর জন্য সবার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার ব্রডব্যান্ড স্পিড কত? আর আপনার বাড়ির ইন্টারনেট কানেকশন যদি স্ট্যাটিক ব্রডব্যান্ড হয় তবে সবথেকে ভালো। কারণ আপনার মোবাইলের নেট শেষ হয়ে গেলে রিচার্জের জন্য সমস্যায় পড়তে হবে আপনাকে। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনার বাড়ির ওয়াইফাই রাউটারটি রিবুট করে নিন। এর ফলে আপনাকে আগের মতন কম ইন্টারনেট স্পিডের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এই সমস্যা মিটে যাবে অনেকটাই। এর সঙ্গে কাজের মধ্যে দু-একবার রাউটারটি বন্ধ রাখুন কিছু সময়ের জন্য। তবে একই রাউটার দিয়ে যদি বাড়িতে অনেকগুলি স্ট্রিমিং একসঙ্গে চলতে থাকে সে ক্ষেত্রে সমস্যা ও বাড়তে পারে। তাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অফিসের কাজের সময় ও গেম বা মুভি দেখার সময় ভাগ করে দিন। তাহলেই সমস্যা একেবারে মিটে যাবে।