
প্রতিদিন দুধ পান করলে শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে হাড় মজবুত করার ক্যালসিয়াম থাকে। এই দুধে হলুদ বা জায়ফল কোনটি মিশিয়ে খেলে শরীরের জন্য ভালো তা এখানে দেখুন।
হলুদ মেশানো দুধকে গোল্ডেন মিল্ক বলা হয়। দুধ ফুটতে থাকলে তাতে হলুদ মিশিয়ে পান করাই গোল্ডেন মিল্ক। একে আরও স্বাস্থ্যকর করতে কালো মরিচ, মধু বা আদার রস মেশানো যায়। হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি চমৎকার প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন খাবারে হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন। দুধে প্রোটিন, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে। এতে মাংসপেশি শক্তিশালী হয়।
- হলুদ দুধ পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হলুদে থাকা কারকিউমিনে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
- বাত, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং প্রদাহ কমাতে হলুদ দুধ সাহায্য করে। হলুদ পিত্ত উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে পাচনতন্ত্র উন্নত করে।
- হলুদে থাকা কারকিউমিন জ্ঞানশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্নায়বিক অবক্ষয় রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এতে বার্ধক্যের ছাপ কমে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। আপনি তরুণ দেখাবেন।
জায়ফল দুধ তৈরি করতে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে তাতে জায়ফল গুঁড়ো মেশাতে হবে। এতে থাকা মিরিস্টিকিন, ইউজেনল ইত্যাদি ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। এগুলি প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও ধারণ করে। জায়ফল দুধ পান করলে মাংসপেশি এবং স্নায়ু শিথিল করার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। জায়ফল দুধে ক্যালসিয়াম এবং ভালো চর্বি থাকে। এগুলি হাড় মজবুত করে।
- জায়ফল দুধ অনিদ্রা দূর করে। সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো সুখের হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা সৃষ্টি করে। এভাবে মানসিক চাপ কমায়।
জায়ফল দুধ পান করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজমের মতো সমস্যা দূর হয়। জায়ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার - বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- জায়ফল দুধ পান করলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে এবং রক্তনালীতে প্রদাহ কমে।
হলুদ দুধ এবং জায়ফল দুধ উভয়ই ভালো। আপনার যদি প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হয় তবে হলুদ দুধ পান করুন। ভালো ঘুম এবং মানসিক চাপ দূর করতে জায়ফল দুধ ভালো পছন্দ।