৭, ৮ বছর বয়স থেকেই বাচ্চাদের মন খুব দ্রুত বিকশিত হতে শুরু করে। এই সময়েই তাদের ব্যক্তিত্বের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে ওঠে। তাই, এই বয়স থেকেই তাদের নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো উচিত। এগুলি বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্য সাহায্য করবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী..
বাচ্চারা বড় হওয়ার সময় পড়াশোনা তাদের জীবনের একটি অংশ মাত্র। প্রায় সব অভিভাবকই বাচ্চাদের ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন কিনা, ভালো টিউশনে যোগ দিয়েছেন কিনা, সেটাই দেখেন। এগুলি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, তাদের জীবনে প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও অবশ্যই শেখানো উচিত, সেটা অনেকেই ভুলে যান। বড় হলে ওরা নিজেরাই শিখে নেবে বলে ছেড়ে দেন। কিন্তু.. বাচ্চাদের ৭, ৮ বছর বয়স হলেই কিছু বিষয় শেখানো শুরু করা উচিত।
28
৭, ৮ বছর বয়স থেকেই বাচ্চাদের মন খুব দ্রুত বিকশিত হতে শুরু করে। এই সময়েই তাদের ব্যক্তিত্বের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে ওঠে। তাই, এই বয়স থেকেই তাদের নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো উচিত। এগুলি বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্য সাহায্য করবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী..
38
১. শিষ্টাচার শেখা ছোট বাচ্চাদের কার সামনে কীভাবে কথা বলতে হয়, তা জানা থাকে না। বড়দের কীভাবে সম্মান করতে হয়, তাদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা শেখানো খুবই জরুরি। কিছু বলার আগে 'দয়া করে', 'ধন্যবাদ', 'ক্ষমা করবেন' ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা অভ্যাস করতে হবে। এটি তাদের ব্যক্তিত্বের উন্নতি করবে এবং সমাজে তাদের সম্মানিত করবে।
টাকার মূল্য ছোটবেলাতেই বাচ্চাদের বোঝাতে হবে। মা-বাবা কাজ করে টাকা রোজগার করেন, তা অযথা খরচ করা ঠিক নয়, তা বুঝিয়ে বলতে হবে। ছোট ছোট সঞ্চয়ের অভ্যাস, পিগি ব্যাংকে টাকা জমানো, অপচয় না করা ইত্যাদি বাচ্চাদের বাস্তবিকভাবে শেখাতে হবে।
58
৩. সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রযুক্তি এখন বাচ্চাদের জীবনের অংশ। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না শিখালে তা সমস্যার কারণ হতে পারে। ছোটবেলাতেই স্ক্রিন টাইমের সীমা, কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, গোপনীয়তা কীভাবে রক্ষা করবে, তা বুঝিয়ে বলতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ডিজিটাল আসক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য ছোট ছোট নিয়ম তৈরি করতে হবে।
68
৪. নিজের কাজ নিজে করা..
নিজের খাওয়া, তৈরি হওয়া, স্কুল ব্যাগ গোছানো ইত্যাদি ছোট ছোট কাজ নিজেরাই করার অভ্যাস করতে হবে। এতে আত্মনির্ভরতা বাড়বে। ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাও বৃদ্ধি পাবে। সময়ের মূল্য বোঝার জন্য টাইমার ব্যবহার করা, টু-ডু লিস্ট তৈরি করা ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
78
৫. নৈতিক মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ
বাচ্চাদের সততা, করুণা, সহনশীলতা ইত্যাদি মূল্যবোধ ছোটবেলাতেই শেখাতে হবে। বিশ্বাস অর্জন করার চেয়ে বিশ্বাস রক্ষা করা অনেক বড় কথা, তা বুঝিয়ে বলতে হবে। ভালো কাজ করলে প্রশংসা করা, ভুল করলে স্নেহ করে সংশোধন করা জরুরি।
88
৬. ধৈর্য ধরা , ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া
সবকিছু তাড়াতাড়ি পেতে চাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বাচ্চাদের 'প্রচেষ্টা - ফলাফল' এর মধ্যেকার ব্যবধান বুঝতে শেখাতে হবে। চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায় না, দেখলেই সবকিছু চাওয়া ঠিক নয়, তাও বাচ্চাদের জানতে হবে।