Parenting Tips: মা-বাবা ভুলেই নষ্ট হচ্ছে বাচ্চার ভবিষ্যত, সবার আগে বদল করুন নিজের স্বভাব

বাচ্চার (Kids) সঠিক ভবিষ্যত গড়তে মা-বাবারও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন, আপনার কোন ভুলে বাচ্চার ভবিষ্যত নষ্ট হতে পারে। 

Sayanita Chakraborty | Published : Dec 9, 2021 2:28 PM IST / Updated: Dec 09 2021, 08:01 PM IST

আজকাল অধিকাংশ পরিবারেই একটা করে বাচ্চা। তাই তাকে নিয়ে সকলেরই আশা। বাচ্চা বড় হয়ে কোন পেশায় (Profession) যাবে, তা ঠিক করতে ব্যস্ত সকলে। তার ভবিষ্যত গঠনে মরিয়া মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্যরা। একথা ঠিক যে, বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গঠনের গুরু দায়িত্ব মা-বাবার (Parents) কাঁধে। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই মা-বাবার ভুলেই সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যায়। সন্তানের সঠিক ভবিষ্যত গড়তে গিয়ে মা-বাবা এমন ভুল করে ফেলেন, যাতে হিতে বিপরীত হয়। তাই সারাদিন বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই তার ভবিষ্যত (Future) সুরক্ষিত হবে না। বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে মা-বাবারও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন, আপনার কোন ভুলে বাচ্চার ভবিষ্যত নষ্ট হতে পারে। 

বাচ্চা হয়তো পরীক্ষায় (Exam) ফেল করেছে। তাই ফলে সারক্ষণ তাকে ফেলটু বলে ডাকছেন। এই কাজ একেবারেই করা উচিত নয়। এতে বাচ্চার আত্মবিশ্বাস (Confidence) নষ্ট হয়ে যায়। সে কাজের উদ্যোগ হারায়। তাই বাচ্চা কোনও ভুল করলে, বা কোনও কাজে ব্যর্থ হলে, তাকে বার বার তা মনে করানোর প্রয়োজন নেই। বরং, বাচ্চাকে (Kids) নিজের ভুল কীভাবে ঠিক করবে, সেটা শেখান। তা না হলে বাচ্চারই ক্ষতি।  

অনেক মা-বাবার সারাক্ষণ দোষারোপ (Blame) করা স্বভাব আছে। জানবেন, এতে বাচ্চার ক্ষতি হয়। কোনও ভুল হলে, সেটা কে করেছে, কীভাবে করেছে, কেন ভুল করেছে, এই উত্তর খুঁজতে বসবেন না। বরং, সেটা কী করে ঠিক করা যায়, তা বাচ্চাকে শেখান। আপনার দোষারোপ করার স্বভাব বাচ্চার (Kids) ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। সে নিজেও এই খারাপ জিনিস শিখবে। তাই সবার আগে নিজের স্বভাবে বদল করুন। 

আরও পড়ুন: Parenting Tips: ভবিষ্যত গড়তে নতুন ভাষার শিক্ষা দিন, জেনে নিন বাচ্চাকে একাধিক ভাষা কেন শেখাবেন

আরও পড়ুন: Parenting Tips: বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে তার বন্ধু হন, মেনে চলুন এই টিপস

অনেক মা-বাবা আছেন যারা বাচ্চাকে বড্ড মারধর করেন ও বকা দেয়। একটু কিছু ভুল হলেই হল। কথায় কথায় বকা দেওয়া শুরু করেন। বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত (Future) গড়তে আজই বন্ধ করুন এই অভ্যেস। এতে বাচ্চার ক্ষতি হয়। তাকে বেশি মারধর করলে সে জেদী হয়ে যাবে। তখন বাচ্চাকে ঠিক পথে চালনা করা মুশকিল হয়ে যাবে। তাই আগে থেকে নিজের এই স্বভাবের বদল করুন। 

অনেক মা-ই আছেন যাদের জীবনে প্রধান লক্ষ বাচ্চাকে (Kids) সঠিক ভাবে মানুষ করা। কিন্তু, এটা করতে গিয়ে সারাক্ষণ বাচ্চার সব ব্যাপারে কথা বলে। তার ব্যক্তিগত জীবন দখল দেন। এই স্বভাবের বদল করুন। সকলেই একটা ব্যক্তিগত জীবন (Personal Life) থাকা উচিত। সেই সুযোগটা আপনার বাচ্চাকেও দিন। তা না হলে, তারই বিপদ। তাই বাচ্চার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার অভ্যেস বদল করুন। 
 

Read more Articles on
Share this article
click me!