Parenting Tips: ক্রমে বাড়ছে বাচ্চার ডানপিটে স্বভাব, জেনে নিন কী করে সামলাবেন জেদি বাচ্চাকে

বাচ্চাদের (Kids) এক এক বয়সে, এক এক রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। কখনও সে মাত্রাতিরিক্ত লাজুক (shyness) হয়ে যায়, কখনও ঝগড়াটে, কখনো বা জেদি। এই সময় বাচ্চাকে সামলানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাকে বকা দিলে, কিংবা মারলে কোনও লাভ তো হয়ই না উলটে জেদ বেড়ে যায়।

Sayanita Chakraborty | Published : Nov 16, 2021 12:48 PM IST / Updated: Nov 16 2021, 06:21 PM IST

করোনার জন্য গত বছর থেকে স্কুল (School) বন্ধ। আজ নবম-দশম শ্রেণীর পাঠক্রম শুরু হলেও নিচু ক্লাসের পড়াশোনা চলছে অনলাইনেই (Online)। সারাদিন বাড়িতেই থাকে বাচ্চা (Kids)। তবে, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় খেলে বাড়ি ফেরে শুরু টিউশন (Tuition)। বাড়ির বাইরে থাকে খুব বেশি হলে ২ থেকে ৩ ঘন্টা। কিন্তু, এতেই অতিষ্ট হয়ে উঠছে সকলে। রোজ রোজ কোনও কোনও অভিযোগ (Complain) আসছে ছেলের নামে। কোন দিক কার সঙ্গে মারপিট করে আসছে, কোনদিন ঝগড়া করছে, তো কোনদিন কার জিনিস হারিয়ে দিচ্ছে ইচ্ছা করে। ছেলের ডানপিটে স্বভাব ক্রমে বেড়ে চলেছে। বাচ্চাদের (Kids) এক এক বয়সে, এক এক রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। কখনও সে মাত্রাতিরিক্ত লাজুক (shyness) হয়ে যায়, কখনও ঝগড়াটে, কখনো বা জেদি। এই সময় বাচ্চাকে (kids) সামলানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাকে বকা দিলে, কিংবা মারলে কোনও লাভ তো হয়ই না উলটে জেদ বেড়ে যায়। 

আরও পড়ুন: Health Tips: ওজন বৃদ্ধির জন্য বাড়ছে কিডনির রোগ, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাচ্চা (Kids) ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। এই সময় আচরণগত (Attitude) পরিবর্তন বেশি দেখা যায়। যেমন, অনেক বাচ্চা (kids) কোনও নিয়ম মানতে চায় না। তা ছোটখাটো যে কোনও বিষয় যাই শেখানো হোক না কেন সে উলটো পথে চলে। কারণে-অকারণে জেদ দেখায়। বদ মেজাজ দেখায়। ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্যায় করে। যাতে গুরুজনরা রাগে যায় কিংবা বিরক্ত হয়। এছাড়া, বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি ও ঝগড়া তো আছেই। কোনও অন্যায় সে মানতে চায় না। কোনও বিষয় আলোচনা বা আপস করতে চায় না। এছাড়া, সারাক্ষণ প্রতি হিংসা বা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ দেখা যায়। 
আরও পড়ুন: Vastu Tips: বাচ্চার পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে এই ছবি লাগান, বাস্তু মতে ছবির গুণে পড়ায় উন্নতি হবে

কী করবেন- 
ডানপিটে বাচ্চাকে সামলানো চারটি খানি কথা নয়। এই সময় তাকে মারলে সে আরও জেদি হয়ে যাবে। তাই বাচ্চা যতই অন্যায় করুন গায়ে হাত দেবেন না। বাচ্চাকে বোঝান। মারের ভয় দেখান। কিন্তু, মারবেন না। সে আপনাকে অতিষ্ট করার চেষ্টা করলে রেগে যাবেন না। উপেক্ষা (Ignore) করুন। একটা সময় পর সে ক্লান্ত (Tired) হতে থেমে যাবে। বাচ্চাকে মেডিটেশন করান। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে বাচ্চার এমন স্বভাব পরিবর্তন করা সম্ভব।
 

Read more Articles on
Share this article
click me!