Parent Relation- অভিভাবকদের এই অভ্যাসগুলি সন্তানের আত্মবিশ্বাসকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে, শুধরে নিন

সন্তানের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত করে এই ভুলগুলি। তবে আপনার সন্তানের ক্ষতি না চাইলে অবশ্যই ভুলগুলি শুধরে নিন। 

Asianet News Bangla | / Updated: Nov 06 2021, 10:31 AM IST

সন্তানকে মানুষ করা খুবই কঠিন কাজ। পাশাপাশি তাকে সঠিক শিক্ষা দেওয়াও এক বড় দায়িত্ব। সব অভিভাবকই চান তাঁর সন্তান যেন ভালো মানুষ হন। তাঁরা কেউ ভালোবেসে আবার কেউ কড়া শাসনের মধ্যে সন্তানকে মানুষ করেন। তবে সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের ভুল করে ফেলেন। যার মাশুল দিতে হয়ে সন্তানদের। সন্তানের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত করে এই ভুলগুলি। তবে আপনার সন্তানের ক্ষতি না চাইলে অবশ্যই ভুলগুলি শুধরে নিন। 

অন্যের সামনে বকা

বাচ্চারা অন্যের সামনে খারাপ ব্যবহার বা কোনও ভুল করে থাকলে সমস্ত অভিভাবকই রেগে যান। কিন্তু অন্যের সামনে তাদের শাসন করলে বা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে বাধ্য করলে তারা লজ্জিত ও অপমানিত বোধ করতে পারে। এর ফলে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস ও অভিমানে আঘাত লাগে। তাই বাচ্চাদের অন্যদের সামনে ধমকানোর আগে নিজে শান্ত থাকুন এবং সঠিক সময় দেখে তাদের বোঝান।

সন্তানকে তার বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করা

নিজের সন্তানকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। অন্যের সঙ্গে তুলনা হলে, বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে তুলনা করবেন না। যেমন- আপনার সন্তানের বন্ধু কত ভালো নম্বর পাচ্ছে, তা দেখে সন্তানের সঙ্গে তার তুলনা না-করে, নিজের সন্তানের যোগ্যতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন।

সন্তানের ব্যবহারের প্রতি খেয়াল রাখা

অনেক অভিভাবকই বাচ্চাদের খারাপ ব্যবহার দেখে তাদের শাসন করতে শুরু করে দেন। মা-বাবা ভুলে যান যে, বাচ্চাদের যে ব্যবহারের জন্য তাঁদের সমস্যা হচ্ছে, সেই ব্যবহারের কারণেই লাভও হতে পারে। যেমন- কোনও বাচ্চা পড়াশোনার চেয়ে বেশি সময় যদি বাইরে খেলাধুলো করে বা ঘুরে বেড়ায়, তা হলে এর ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সম্ভব।

অনেক বেশি আশা করা 

নিজের সন্তানকে সফল হতে দেখা, প্রত্যেক অভিভাবকের স্বপ্ন। তবে বাচ্চাদের কাছে অবাস্তব কিছু প্রত্যাশা করলে অভিভাবকদেরই হতাশ হতে হবে। আবার সন্তান আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে না-পারলে তাদের মধ্যে হতাশা, রাগ, ভুল করা বা অবসাদের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চারা যা বা যেটুকু করতে পারত, তা-ও করতে পারবে না। তাই সন্তানকে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিন। তারা যে কাজে পারদর্শী সেই কাজই করতে দিন।

নিয়ম স্থাপনে অসাফল্য

অভিভাবকদের বাচ্চাদের জন্য একটি স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা উচিত। সন্তানের স্বাস্থ্যকর বিকাশের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। অভিভাবকরা বাচ্চাদের জন্য নিয়ম-কানুন তৈরি করে, যাতে কোন কাজ করা উচিত বা কোনটি করা উচিত নয়, তা তারা জানতে পারে। সীমা নির্ধারিত থাকলে বাচ্চারা নিরাপদ অনুভব করে।

পরিবারকে সময় না দেওয়া

অভিভাবকরা অনেক সময় কাজে খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানোও খুব জরুরি। তা না-হলে বাচ্চারা নিজেদের উপেক্ষিত মনে করতে পারে। এর ফলে তাদের মধ্যে ইমোশনাল মেন্টাল ডিস্ট্রেস, এমনকি অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশানের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিন বাচ্চাদের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটান। তাদের সঙ্গে খেলাধুলো ও অন্যান্য বিষয় আলোচনা করুন।

Share this article
click me!