ভূমি দপ্তরের নাকের ডগায় সরকারি জমি দখল, চলছে রমরমিয়ে আইনি বালি খাদানের কারবার

সরকারি ভূমি সংস্কার দপ্তরের নাকের ডগায় দেদার চলছে বেআইনি বালি খাদানের কারবার। এইভাবে চলতে থাকা বেআইনি কারবারের রমরমা বন্ধের দাবি

Parna Sengupta | Published : Aug 8, 2021 12:23 PM IST

লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, রীতিমতো প্রকাশ্যে সরকারি ভূমি সংস্কার দপ্তরের (land reform department) নাকের ডগায় দেদার চলছে বেআইনি বালি খাদানের (Illegal sand mining) কারবার (business)। এইভাবে চলতে থাকা বেআইনি কারবারের রমরমা বন্ধের দাবিতে মুর্শিদাবাদের ইন্দো-বাংলা সীমান্তবর্তী ভরতপুর এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আর এই ঘটনা নজরে আসতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। 

মূলত এই বেআইনী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকাদের উৎপাত ও নানা ধরনের বাহুবলীদের চাপের ফলে প্রতিবাদী মানুষদের অবস্থা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এলাকায় বলেই অভিযোগ। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার মধ্যে রয়েছে ময়ূরাক্ষী ও কুয়ে নদী। আর ব্যাপকভাবে ওই দুই নদী থেকে বালি তোলা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্ষার সময় নদী থেকে বালি তোলা নিষেধ থাকায়, বেআইনি কারবারিরা তার মধ্যেই ঐ খাদান থেকে বিভিন্ন রাস্তার পাশে বালি মজুত করে রাখছে চোরাকারবার চালানোর জন্য।

বর্ষার সময় তা চড়া দামে বিক্রি হতে শুরু করেছে। অভিযোগ, সবকিছুই চলছে খোদ স্থানীয় বিএলআরও অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। রাস্তার দুপাশে পকেট বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি জমির উপর বালি মজুত করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এছাডাও সুন্দিপুর, সুনিয়া, ঝিকড়া, তালগ্রাম ইত্যাদি এলাকায় একইভাবে চলছে বালি বিক্রির ব্যবসা।  

বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলছেন,বালি বিক্রেতাদের কোনও ভাবেই খাদান থেকে বালি তোলা ও বিক্রি করার বৈধ লাইসেন্স না থাকার ফলে বালি বিক্রির সরকারি মুনাফাও রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে জমা হচ্ছে না। অথচ, বালি বিক্রির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী বিএলআরও দপ্তর থেকে ট্যাক্স কাটা হয়। আবার এই এলাকায় দু’টি নদী থেকে বালি তোলা হলেও, নেই কোনও টোল ট্যাক্সের ব্যবস্থা। 

বাড়ির সদর দরজায় ছোট্ট কিছু পরিবর্তন, ফিরিয়ে দেবে আপনার অর্থ ভাগ্য

Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি

সূর্যের গা থেকে ছিটকে বেরোচ্ছে আগুনের গোলা, ভয়ঙ্কর সুন্দর ভিডিও প্রকাশ করল নাসা

যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে বিএলআরও উদ্ভব মণ্ডল সাফাই দিয়ে জানান, এমনটা আমাদের জানা নেই। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও বালির ব্যবসা চলছে জানতে পারলে আমরা সেখানে লোকজন পাঠিয়ে মাপজোক করে সরকারিভাবে ট্যাক্স আদায় করি। অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না"।

Share this article
click me!