সংক্ষিপ্ত

নামের পাশে একটা ডিগ্রি বসানোর ইচ্ছে ছিল তামান্না নুসরত-এর। সেই লোভেই বাংলাদেশের এক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আটজনকে নকল পরীক্ষার্থীকে কাজে লাগিয়েছিলেন। ধরা পড়ে দেলেন বাংলাদেশের এই সাংসদ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হল তাঁকে।

 

তিনি শাসক দলের সাংসদ। তাতে কি, নামের পাশে কিছু ডিগ্রি থাকলে তবে না মানুষ সম্মান করবে। আর এই লোভেই বাংলাদেশের এক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আজন নয়, আট-আটজনকে প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে বসিয়েছিলেন সেই দেশের শাসক দল আওয়ামী লিগের নেত্রী তামান্না নুসরত। এভাবেই চলছিল, কিন্তু এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের হাতে ধরা পড়ে শেষরক্ষা হল না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হল সাংসদকে।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নরসিংদি জেলার প্রাক্তন মেয়র সোকমান হোসেনের বিধবা স্ত্রী তামান্না। ২০১১ সালে লোকমান সাহেবকে গুলি করে খুন করার পর রাজনীতির ময়দানে আসেন তামান্না। বাংলাদেশের সংসদে যে ৫০টি মহিলা সংরক্ষিত আসন রয়েছে, তার একটির সাংসদ তিনি। বাংলাদেশের এক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই আট নকল পরীক্ষার্থী দিয়ে তিনি এর আগে ১৩টি পরীক্ষা পার করেছিলেন।

কিন্তু গত শনিবার পরীক্ষার পর ওই নকলদের একজন ধরা পড়ে যান এক বেসরকারি টেলি চ্যানেলের হাতে। তাতেই সামনে আসে পুরো ঘটনাটি। এরপরই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমএ মান্নান জানান, তামান্না নুসরতকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আর কোনওদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও পরীক্ষা দিতে পারবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেন কিনা সেটাই দেখার।