সংক্ষিপ্ত

  • বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের
  • প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
  • এর মাঝেই দেশে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি
  • দাবি করছে স্থানীয় ওষুধ সংস্থা গ্লোব বায়োটেক

ভারতের মতোই বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংধ্যা দেড় লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। অবস্থা কীভাবে সামলানো যাবে তা নিয়ে প্রশআসনের কপালে চিন্তার রেখা ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে। এরমধ্যেই অবশ্য বাংলাদেশবাসীকে আশার খবর শোনাল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।

গত বৃহস্পতিবার এই সংস্থাটি সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ রোগের টিকা  ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা গিয়েছে। ইতিমধ্যে পশুর শরীরে প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সফল্যও পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, দৈনিক সংক্রমণ ১৯ হাজারের বেশি

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কার্যালয়েই  আয়োজন করা হয়েছিল এই সংবাদ সম্মেলনের। যেখানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে পশুর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগে সাফল্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পশুর শরীরে আরেকটি রেগুলেটরি ট্রায়াল চালানো হবে। তার জন্য ৬-৮ সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরেই তারা আশা করছেন, মানবদেহে প্রয়োগের জন্য কাজ শুরু করা যাবে।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে। সরকারের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দলাই লামাকে দেওয়া হোক 'ভারতরত্ন', চিনকে মোক্ষম জবাব দিতে এবার দাবি তুলল সঙ্ঘ পরিবার

করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কিছুদিন পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠেপড়ে লাগে। বিশ্বের প্রায় ১৪০ টি দেশে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য গবেষণা চলছে। এরইমধ্যে এখন পর্যন্ত  অনেকগুলো ভ্যাকসিনকে পরীক্ষামূলক ভাবে মানবদেহে প্রয়োগও করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে কোনোটিই এখনও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি পায়নি।

করোনার উৎসস্থল চিনে মোট ৮টি ভ্যাকসিন মানব পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে। এছাড়া অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে।