সংক্ষিপ্ত
- সাধারণ চাকরি জীবনে একঘেয়েমি এসেছিল সৃজিত-অনুপমের
- একদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সবই ছেড়ে ছুড়ে চলে এলেন
- এখন একজন টলিউডের প্রথম সারির পরিচালক, অন্যজন সংগীতশিল্পী
- সেই পুরনো দিনের ছবি শেয়ার করে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন সৃজিত
৯-৫ টার ডিউটি, একই কিউবিকলে নিত্যদিন বসে কম্পিউটারের সমানে মুখ গুঁজে থাকা। নিত্যদিনের এই জীবনে একঘেয়েমি এসেছে বহু মানুষের। সব ছেড়ে ছুড়ে কেউ চলে গিয়েছেন অন্যদিকে আবার কেউ হাজার ভেবেও সেই কিউবিকল ছেড়ে বেরতে পারেননি। কিছু সংখ্যক মানুষের আবার এই কিউবিকলই ভারি পছন্দ। তবে প্রথম ক্যাটেগরিতে পড়েন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং সংগীতশিল্পী অনুপম রায়। চাকরি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন সবকিছু। সিনেমার প্রতি প্রেম অন্যদিকে সংগীতের প্রতি টান চাকরি থেকে ফের এক জায়গায় এনে ফেলে পরিচালক এবং সংগীতশিল্পীকে।
আরও পড়ুনঃকরোনার প্রকোপে ভক্তদের জন্য মিমির চমক, অভিনেত্রীর হটনেসে ঘাম ঝড়ল সাইবারবাসী
বেঙ্গালুরুতে চাকরি করতেন সৃজিত এবং অনুপম। ২০০৬ সালের সেই ছবি শেয়ার করেছেন সৃজিত। যা দ্রুতগতিতে ভাইরাল হয়ে চলেছে নেটদুনিয়ায়। সৃজিত ছিলেন বিজনেস অ্যানালিস্ট এবং অনুপমও বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। গান এবং সিনেমা নিয়ে আলোচনা করতে করতে সিদ্ধান্ত নেন একদিন সব ছেড়ে দেবেন। সাহস করে অবশেষে রেজিগনেশন লেটার মেল করে দেন। বেঙ্গালুরুর কর্পোরেট জীবন ছেড়ে চলে এলেন নিজের শহর কলকাতায়। সাংঘাতিক লড়াই করে তৈরি করলেন অটোগ্রাফ। বন্ধুর 'অটোগ্রাফ'-এর হাত ধরেই গান বাঁধলেন অনুপমও।
দুই বন্ধুই সুপারহিট। বাংলা চলচ্চিত্র জগত বরণ করে নিল দুই নতুন প্রতিভাকে। আমাকে আমার মত থাকতে দাও গানটি আজও সকলের হিটলিস্টে রয়েছে। অন্যদিকে অটোগ্রাফের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকমহল। এই দুই বন্ধু যদি বেঙ্গালুরুর কিউবিকলে বসে থাকত, তাহলে বাংলার দর্শক যে কত কী হারাত তা বোধহয় ভাবনারও উর্ধ্বে। ২০০৬ সালের ছবিতে সৃজিত এবং অনুপম দু'জনেই যেন আমাদের কাছে একেবারে অচেনা। সৃজিতকে যাও বা চেনা যাচ্ছে, অনুপমকে বেশ মন দিয়ে দেখতে হচ্ছে। রাস্তার ধারের খাবারের দোকানে বসা দুই বন্ধুর ছবি নস্টালজিয়ায় ভরিয়ে দিল ভক্তদের।