সংক্ষিপ্ত

যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে ডাক পড়ল ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের। আগুন নেভাতে নয়, এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গকে ধাতব রিং-মুক্ত করতে। 

যুক্তরাজ্যের হাডার্সফিল্ড রয়্যাল ইনফার্মারি হাসপাতালে আচমকা ডাক পড়েছিল ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন দমকল কর্মীরা। এসে দেখেন, না হাসপাতালে আগুন লাগেনি। তবে হাসপাতালে ভর্তি এক ব্যক্তি ব্যথার আগুনে দগ্ধে মরছেন। তাঁর পুরুষাঙ্গে আটকে গিয়েছে একটি ধাতব রিং। তা কোনওভাবেই বের করা যাচ্ছে না। 

গত ২২ জুলাই ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তাররা কোনওভাবেই তাঁকে ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারেননি। শেষে ইয়র্কশায়ার দমকল বিভাগের কর্মীরাই এসে একটি বিশেষ কাটার যন্ত্র দিয়ে ধাতব রিংটি কেটে  ওই ব্যক্তিকে তার ব্যথা ও বিব্রতকর দুর্দশা থেকে মুক্তি দেন। 

হাডারসফিল্ড রয়্যাল ইনফার্মারির এক ডাক্তার জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি বলেছেন, সহবাসের সময় দৃঢ়তা ধরে রাখতে সহায়তা করার জন্যই তিনি ওই অদ্ভুত পথ নিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির জন্য বিষয়টা অবিশ্বাস্যরকম বেদনাদায়ক হয়ে উঠেছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিংটা কেটে সরিয়ে ফেলতে হত, নাহলে গ্যাংগ্রিন হয়ে যেতে পারত। তিনি যোগ করেছেন, যদি এরকম করতেই হয়, রবারের কিছু ব্যবহার করা ভালো, ধাতব কিছু নয়। 

আরও পড়ুন - তালার সঙ্গে সঙ্গম করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গই হারানোর দশা, দু'সপ্তাহ পর মুক্তি দিলেন ডাক্তাররা

আরও পড়ুন - বাস্তবের কুম্ভকর্ণ - বছরে ৩০০ দিন ঘুমিয়ে কাটে রাজস্থানের এই ব্যক্তির, এর পিছনে রহস্য কী

আরও পড়ুন - কিশোরের পায়ুছিদ্র দিয়ে বেরোচ্ছে একের পর এক ডিম - মানুষ না মুরগী, হতবাক চিকিৎসকরা

চলতি বছরের শুরুতে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে হংকংয়েও এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর বান্ধবীকে ইমপ্রেস করার লক্ষ্যে তাঁর পুরুষাঙ্গটিকে বড় দেখাতে ধাতব রিং আটকেছিলেন। এতে করে কিছুক্ষণ পড় তাঁর যৌনাঙ্গের তরল শুকিয়ে গিয়ে  মারাত্মক সংক্রমণ ঘটেছিল। তাঁর জ্বরও এসে গিয়েছিল। সেইক্ষেত্রে ডাক্তাররাই সেই রিংটি কেটে বের করেছিলেন।