সংক্ষিপ্ত
- লকডাউন কেড়েছে উৎসবের আনন্দ
- কালীপুজোয় ভিড় নেই ভক্তদের
- সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বার্তা আয়োজকদের
- সচেতনতার নজির আউশগ্রামে
লকডাউনের বাংলায় এখন উৎসব নেই। করোনা সতর্কতায় সামাজিক দূরত্ব-সহ সরকারি নির্দেশ মেনে নমো নমো করে কালীপুজো করলেন গ্রামবাসীরা। সচেতনতার নজির পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে।
আরও পড়ুন: মসজিদ থেকে ত্রাণ গেল মন্দিরে, লকডাউনে সম্প্রীতির নজির এ রাজ্যে
একদিনের পুজো। কিন্তু তাতে কি! সেই পুজোকে কেন্দ্র করেই ফি বছর আনন্দে মেতে ওঠেন গ্রামের ছেলে-বুড়ো সকলেই। মাঠে কিংবা ফাঁকা জায়গায় মেলা বসে। আশেপাশে গ্রাম থেকে আসেন কয়েক হাজার মানুষ। বৈশাখ মাসে রক্ষাকালী পুজো হয় আউশগ্রামের করোটিয়া গ্রামে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি সম্পূ্র্ণ আলাদা। লকডাউনের কারণে এবার কি তবে পুজো বন্ধ থাকবে? মন সায় দেয়নি উদ্যোক্তাদের। পুজো কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতিবারের মতো এবারও গ্রামের বটতলায় রক্ষাকালী পুজো হবে। তবে পুজো প্রাঙ্গনে জমায়েত বা ভিড় করার তো প্রশ্নই নেই। কোনওরকম জাঁকজমক বা আড়ম্বরও করা হবে না। রীতিমতো ঠেঁড়া পিঠিয়ে গ্রামবাসীদের সেকথা জানিয়ে দেন পুজো উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: 'অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢুকছে করোনা', শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরে
আরও পড়ুন: বাবুল সুপ্রিয়ের টুইটে বিড়ম্বনা, কলকাতা থেকে 'বিতারিত' বাঙুরের সেই যুবক
প্রতিবার যেখানে হয়, করোটিয়া গ্রামের সেই বটতলাতেই শুক্রবার রক্ষাকালী পুজোয় আয়োজন করা হয়। মাঠে কোনও ভিড় বা জমায়েত ছিল না। এমনকী, সামাজিক দূরত্ব মেনে দূর থেকেই বিগ্রহকে প্রণাম করতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই কালীপুজোয় মহাভোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার সেই রীতিতেও ছেদ পড়েছে। মন খারাপ সকলেরই। কিন্তু কী আর করবেন! উৎসব না হোক, লকডাউনের বাজারে পুজোটা তো অন্তত করা গেল, এটুকুই যা সান্ত্বনা।