সংক্ষিপ্ত
মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ফের লাফিয়ে বাড়ল ওমিক্রণ (Omicron) সংক্রমণের সংখ্যা। সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Heath Ministry) জানিয়েছিল, ভারতের পাঁচটি রাজ্যে মোট ২৬ টি ওমিক্রন (Omicron) কেস ধরা পড়েছে। ৯ টি রাজস্থানে, ৩ টি গুজরাটে, ১১ টি মহারাষ্ট্রে, ২ টি কর্ণাটকে এবং ১টি ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে দিল্লিতে। তবে তারপরই তারপরই মহারাষ্ট্র থেকে এদিন আরও ৬ টি নতুন ওমিক্রণ সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হল। ফলে রাজ্যের ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা পৌঁছল ১৭-তে, আর দেশের ৩২-এ। তবে প্রত্যেকেরই শরীরেই উপসর্গ রয়েছে একেবারে হালকা, কারোর শ্বাসকষ্টও নেই।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, ভারতের পাঁচটি রাজ্যে মোট ২৬ টি ওমিক্রন কেস ধরা পড়েছে। ৯ টি রাজস্থানে, ৩ টি গুজরাটে, ১১ টি মহারাষ্ট্রে, ২ টি কর্ণাটকে এবং ১টি ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে দিল্লিতে। তবে তারপরই তারপরই মহারাষ্ট্র (Maharashtra) থেকে এদিন আরও ৬ টি নতুন ওমিক্রণ সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হল। ফলে রাজ্যের ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা পৌঁছল ১৭-তে, আর দেশের ৩২-এ। তবে প্রত্যেকেরই শরীরেই উপসর্গ রয়েছে একেবারে হালকা, কারোর শ্বাসকষ্টও নেই।
আরও পড়ুন - Omicron-infected Doctor: প্রথম পরীক্ষার ১৫ দিন পরও করোনা পজিটিভ ওমিক্রন আক্রান্ত ডাক্তার
আরও পড়ুন - Omicron Threat: ওমিক্রনের জন্য আরও বাড়ল নিষেধাজ্ঞা, আপাতত বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল
আইসিএমআর (ICMR) প্রধান বলরাম ভার্গব (Balaram Bhargava), নতুন ওমিক্রন রূপান্তরে বিরুদ্ধে সতর্কতা রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওমিক্রন এখনও জনস্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য উচ্চতর হুমকি সৃষ্টি করেনি ঠিকই, তবে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত পরীক্ষাগারেই ওমিক্রন ভাইরাস তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। সেটা হয়ে গেলে ওমিক্রন ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওমিক্রনের উত্থানের পর বিশ্বের এবং ভারতের কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নিয়মিত বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, আতঙ্ক না ছড়িয়ে বরং যে জেলাগুলিতে ইতিবাচকতার হার বেশি, সেগুলিতে জেলা পর্যায়ে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব, লব আগরওয়াল, জানিয়েছেন, 'ঝুঁকিপূর্ণ' দেশগুলি থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের মধ্যে ৮৩ টি কোভিড-পজিটিভ কেস রয়েছে এবং এর মধ্যে ১৩ টি ক্ষেত্রে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, নীতি আয়োগের (NITI Ayog) স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সদস্য ডাক্তার ভি কে পল (Dr VK Paul), বলেছেন যে ভারতে যেভাবে মাস্কের ব্যবহার কমছে, তা উদ্বেগজনক। তিনি বলেছেন, মনে রাখতে হবে, ভ্যাকসিন এবং মাস্ক দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের পরিস্থিতি থেকে ভারতীয়দের শিক্ষা নিতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ (National Technical Advisary Group) থেকে শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সুপারিশ করা হয়নি। লব আগরওয়াল (Lav Agarwal) জানিয়েছেন, সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৩১ কোটিরও বেশি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন।
সারা দেশে শুক্রবার নিয়ে টানা ১৪ দিন ভারতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১০,০০০ এর নীচে রয়েছে। তবে চিন্তা রয়েছে কেরলকে (Karala) নিয়ে। এখনও এই রাজ্য থেকেই দেশের মোট দৈনিক সংক্রমণের অর্ধেক রিপোর্ট করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ভারতের মোট করোনা সংক্রমণের মামলার ৫২.৮ শতাংশই এই দক্ষিণের রাজ্য থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে।