সংক্ষিপ্ত
করোনা যুদ্ধে চিনের ওপর ভরসা রাখতে নারাজ ভারত
দেশীয় সংস্থা থেকেই তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট
৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে বরাত
২০ এপ্রিল প্রথম দফায় কিট হাতে পাবে সরকার
দেশীয় সংস্থা থেকেই তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট
৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে বরাত
২০ এপ্রিল প্রথম দফায় কিট হাতে পাবে সরকার
সূত্রের খবর এপ্রিলের শুরুতেই চিনকে দ্রুত পরীক্ষার কিটের বরাত দেওয়ার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ দেশের তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে এই কিট তৈরির করতে বলেছে। পাঠানো হয়েছিল প্রয়োজনীয় নমুনাও। সেই তিনটি সংস্থা হল দিল্লির ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিকস, গুজরাটের ভক্সতার বায়ো লিমিটেড ও রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থা এইচএলএল লাইফকেয়ার লিমিটেড।
সূত্রের খবর চলতি মাসের ২০ তারিখেই অর্থাৎ আর কয়েক দিনের মধ্যেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কিট হাতে পেয়ে যাওয়ারা কথা। কারণ এইচএলএল ও ভক্সতার প্রায় এক লক্ষ কিট সরবরাহ করতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। আর আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই কিট তৈরির কাজ শুরু করবে ভ্যানগার্ড।
বর্তমানে দেশে দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের চাহিদা প্রচুর। কারণ এতদিন ধরে যে সোয়াব টেস্ট হত তার ফল পেতে সময় লাগত পাঁচ ঘণ্টারও বেশি। আর এই পরীক্ষার মাধ্যমে শুধুমাত্র চিহ্নিত করা যেত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদেরই। আর আপনার শরীরে করোনার জীবানু আছে কিনা তা জানা যেত না। কিন্তু অ্যান্ট বডি পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি আক্রান্ত না হলেও আপনার শরীরে করোনার জীবানু রয়েছে কিনা তাও জানা যায়। আর এই পরীক্ষার ফল পেতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। এতদিন আইসিএমআর অ্যান্টি বডি পরীক্ষার ছাড়পত্র দেয়নি। কিন্তু বর্তমান দেশের পরিস্থিতি বিচার করেই অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় ছাড়পত্র দিয়েছে আইসিএমআর। তাই দ্রুত পরীক্ষার কিটের চাহিদাও বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ পিৎজা খেয়ে কোয়ারেন্টাইনে ৭২টি পরিবার, দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ডেলিভারি বয় ...
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্তের সঙ্গে একঘরে রাতদিন থেকেও সংক্রমিত হননি, দুবাইয়ের সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলি ..
কন্ডোম তৈরির জন্যই মূলত বিখ্যাত এইচএলএল। তবে আইসিএমআরএর নির্দেশ পাওয়ার পরই কিট তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রথম দফায় ২৫ হাজার কিট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়েছে এই সংস্থা। পাশাপাশি ভক্সাতার জানিয়েছেন এই প্রথম তারা কিট তৈরির করছে। চিন বা অন্য কোনও দেশের কাছে থেকে কাঁচা মাল কেনা হবে না। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্ততিতে কিট তৈরি করা হবে। প্রথমে মাসে ১০ লক্ষ কিট সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তীকালে চাহিদা অনুসারে উৎপাদন বাড়ানো হবে বলেও জানান হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। অভ্যন্তরীন কিছু সমস্যা থাকায় আপাতত কয়েক দিন সময় নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি উৎপাদন চালু হয়ে যাবে।