বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেনএদিন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন জগনমোহন রেড্ডিনরেন্দ্র মোদীর প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই সমর্থনের কারণ কীজোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে 

বৃহস্পতিবার, টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজ্যের কোভিড সংকট নিয়ে টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতা কোনও লাভের লাভ হয়নি, বলে অভিযোগ করেছিলেন অন্যতম অবিজেপি শাসিত রাজ্য, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতারা। শুক্রবার, তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন দেশের আরেক অবিজেপি শাসিত রাজ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিও।

তবে বিজেপি নেতাদের মতো উগ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি জগন। বরং, সশ্রদ্ধ ভাষায় কোভিড পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানের সমমালোচনা করেন তিনি। টুইট করে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান বলেন, হেমন্ত সোরেনের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। তবে একজন 'ভাই' হিসাবে তিনি হেমন্তকে অনুরোধ করছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে কোভিডের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার। কারণ অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ এই সংকটের সময় ভারতকে দুর্বল করে দেবে। এই মহামারি মোকাবিলায় বরং সকলের প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী করতে হবে, বলে মত দেন তিনি।

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে জগন হঠাৎ এই টুইট করায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। মজার বিষয় হল, দিন কয়েক পরই সিবিআইয়ের আদালতে একটি জমিদান সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তাঁর জামিন বাতিল হওয়ার বিষয়ে শুনানি আছে। কংগ্রেসের দাবি,সেই মামলার চাপেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই সমর্থন ব্য়ক্ত করছেন জগন। ওড়িশার কংগ্রেস সাংসদ সপ্তগিরি ওলাকা টুইট করে বলেন, সিবিআই-এর চাপেই তিনি মোদীর সঙ্গে সমঝোতা করছেন। তিনি জগনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি একজন মুখ্যমন্ত্রী। চাপের মুখে নতি স্বীকার করা তাঁর মানায় না।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন - টিকাকরণ নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই ছুড়ে দিলেন মমতা, বাংলা গেল সুপ্রিম কোর্টে

আরও পড়ুন - ছোটা রাজনের মৃত্যু নিয়ে তীব্র জল্পনা, করোনা কি রেহাই দিল না মাফিয়া ডনকেও

আরও পড়ুন - এক ডোজেই কামাল, নতুন রুশ টিকা তৈরি হবে ভারতেই - করোনাধ্বস্ত দেশে আনতে পারে বিপ্লব

বৃহস্পতিবার, হেমন্ত সোরেন-এর সঙ্গে কোভিড সঙ্কট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোনে কথা হয়। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর রাজ্যের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, টেলিফোনে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী একাই কথা বলেন, তাঁকে কিছু বলতেই দেওয়া হয়নি। টুইটে হেমন্ত সোরেন লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু তাঁর 'মন কি বাত' বলেছিলেন। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা এই বিষয়ে টুইট করে বলেন, হেমন্তের টুইটই প্রমাণ, প্রধানমন্ত্রী কারোর কথা শোনেন না।

YouTube video player