দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে টেলিফোনে কথা প্রধানমন্ত্রীরকথা বলেই দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেওআলোচনা মমতা ও সনিয়ার সঙ্গেওকরোনা ও লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা 

করোনাভাইরাসে আক্রান্তেরা সংখ্যা ত্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৭৪। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন ২৬৭ জন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতে ২১ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউনের মধ্যেই প্রধনমন্ত্রী দেশের করনোভাইরাসেপর সংক্রমণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রতিভা প্যাটেলের সঙ্গে। সূত্রের খবর জদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচলার পাশাপাশি তিনি প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রপতির কাছেই পরিস্থিতি মোকাবিলায়র পরামর্শ চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকেও। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়ার সঙ্গেও।

Scroll to load tweet…

রবিবার প্রধানমন্ত্রী টেলিফনে কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতা নেত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। তালিকায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সবরকম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী কথা বলে ছিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুক্রবার বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর এদিনও ফের একদফা আলোচনা হয়। 

আরও পড়ুনঃ শুধু গঙ্গা নয়, লকডাউনের কারণে রঙ বদলাচ্ছে দিল্লি সংলগ্ন যমুনা

আরও পড়ুনঃ অসাধ্য সাধন করল করোনাভাইরাস আর লকডাউন, মাত্র ১০ দিনে বদলে গেছে গঙ্গার চেহারা

আরও পড়ুনঃ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি ঘিরে গুলি বোমার লড়াই, রণক্ষেত্র পাড়ুইয়ে মৃত ১

লকডাউন ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিস্তারিত চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। কিন্তু তারপরই অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা সামনে আসায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। উষ্মা প্রকাশ করেন সনিয়া গান্ধি। কিন্তু সেই আঘাতেই প্রলেপ লাগাতে এদিন প্রধাবনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী নেত্রীকে ফোন করেছিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও লকডাউন প্রতিস্থিতি নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুলায়ম সিং যাদব, অখিলেশ যাদব, নবীন পট্টনায়ক, কে চন্দ্রশেখর রাও সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।