চরম বর্বরতার শিকার পঞ্জাব পুলিশলকডাউন ভেঙে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের মারধরহাত কাটা হল পুলিশ কর্মীর অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি 

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সৈনিকদের স্বাগত জানিয়ে জনতা কারফিউ দিনই গোটা দেশে একত্রিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও একাধিক জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। গোটা দেশ যখন ঘরবন্দি তখন জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় নেমে কাজ করছেন পুলিশ কর্মীরা। দেশবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের এই কাজে নেমেও চরম হেনস্থা হতে হল পঞ্জাব পুলিশকে। লকডাউনে ঠিকমত চলছে কিনা তা দখতে রাস্তায় নেমেছিল স্থানীয় পুলিশকর্মীরা। একাধিক জায়গায় ব্যারিকডও করা হয়েছিল। আর তাতেই ঘটে গেল চরম বিপত্তি। 
Scroll to load tweet…


রবিবারের সকালে পাতিয়ার একটি সবজি বাজারের সামনে ব্যারিকেড করে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। সেই সময় একটি গাড়ি যেতে চাইলে বাধা দেয় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। দেখতে চাওয়া হয় কারফিউ পারমিট। তারপরই নিহাল সম্প্রদায়ের একদল পঞ্জাবী পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। গাড়ি থেকে নেমে চার পাঁচ জন চড়াও হয় এএসআই হারজিত সিং-এর ওপর। তাদের সঙ্গে থাকা ধারোলো ধারালো তলোয়ার দিয়ে রীতিমত আঘাত করা হয়ে হরজিত সিং-এর হাতে। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে তাঁর কনুইয়ের আঘাত প্রবল। এখানেই শেষ হয়নি তাণ্ডব। তারপর এই দলটি রীতিমত মারধর করে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। জখম হয়েছেন আরও দুই পুলিশ কর্মী। 

আরও পড়ুনঃ মাস্ক না পরে করোনাভাইরাসকে ডোন্ট কেয়ার, উত্তর কোরিয়ার কিম জং আছেন নিজের ছন্দে
আরও পড়ুনঃ নিস্তার পেল না মুম্বই তাজও , অতিথি বিহীন হোটেলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ মৃত্যু ভারতে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যে নতুন করে আক্রান্ত আরো ৯০৯
হারজিত সিংকে চণ্ডীগড়ের রাজিন্দর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। পঞ্জাব পুলিশের প্রধান সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছেন, প্ল্যাস্টিক সার্জেনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান হয়েছে পঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে। 
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
শুক্রবারই পঞ্জাব সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে পয়লা মে পর্যন্ত করেছে। বর্তমানে পঞ্জাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫১। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবকরম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে পঞ্জাব প্রশাসনের তরফ থেকে।