সংক্ষিপ্ত

গত কয়েক দিনে পজেটিভিটি রেট বেড়েছে এক শতাংশের ওপরে। চৌঠা এপ্রিল থেকে ১.৩৪ শতাংশ ছিল এই হার।

ফের করোনা থাবা নয়াদিল্লিতে। গত সাতদিনে ৪৮ শতাংশেরও বেশি সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেখানে। করোনা পজেটিভিটি রেট বেড়েছে দু শতাংশের ওপরে। ক্রমশ বাড়ছে হোম আইসোলেশনের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ৩২৫ জন নতুন করে হোম আইসোলেশনে গিয়েছেন। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানো রোগীর সংখ্যা এখন ৫৭৪। পজেটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ২.৩৯ শতাংশ। 

গত কয়েক দিনে পজেটিভিটি রেট বেড়েছে এক শতাংশের ওপরে। চৌঠা এপ্রিল থেকে ১.৩৪ শতাংশ ছিল এই হার। আচমকা তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ চিন্তায় দিল্লি প্রশাসন। পয়লা এপ্রিল যেখানে পজেটিভিটি রেট ছিল ০.৫৭ শতাংশ, সেখানে ১৪ই এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ২.৩৯ শতাংশে। গত এক সপ্তাহ ধরে হোম আইসোলেশনের সংখ্যাও বাড়ছে। 

৮ই এপ্রিল দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হন ১৪৬ জন। তখন পজেটিভিটি রেট ছিল ১.৩৯ শতাংশ। সেই সময় হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৮৮জন। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বলছেন ১৪ই এপ্রিলের মধ্যে তা বেড়ে ৫৭৪য়ে দাঁড়িয়েছে।

দাম কমল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের, প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ চালুর একদিন আগেই বড় সিদ্ধান্ত

দুদিন আগেই নয়াদিল্লির একটি বেসরকারি স্কুলে এক পড়ুয়া ও শিক্ষক দুজনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর মিলেছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। স্কুলের সব ছাত্র ছাত্রীকে আপাতত বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

কোভিড-১৯ এর বংশধর XE-তে আক্রান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা মুম্বইতে, সংক্রমণের লক্ষ্ণণগুলি জানুন

দিন কয়েক আগেই নয়ডা ও গাজিয়াবাদের বেশ কয়েকটি স্কুল থেকে করোনা সংক্রমণের খবর মেলে। উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের মধ্যে। বুধবার দিল্লিতে ২৯৯ জন নতুন করে কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। যা দু'দিন আগে রেকর্ড করা দৈনিক গণনা থেকে ১১৮ শতাংশ বেড়েছে। দিল্লি স্বাস্থ্য দফতর  জানিয়েছে পজেটিভিটির হার দাঁড়িয়েছে ২.৪৯ শতাংশে। 

দিল্লিতে কোভিড পজিটিভিটির হার এক সপ্তাহে ০.৫ শতাংশ থেকে ২.৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, তবে চিকিৎসকদের দাবি এটা আতঙ্কের পরিস্থিতি নয়। কারণ দৈনিক কেসের সংখ্যা এখনও কম রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, বুধবার ২৯৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে, সোমবার ১৩৭ জন আক্রান্ত হন বলে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। তবে বুধবার এই রোগের কারণে কোনও মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি।

করোনাভাইরাস বহুরূপী, এটি এখনও রয়েগেছে বলে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর কোনো বুলেটিন জারি করেনি। সোমবার, ইতিবাচকতার হার ছিল ২.৭০ শতাংশ - দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। পাঁচই ফেব্রুয়ারি ইতিবাচকতার হার ছিল ২.৮৭ শতাংশ। সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার জাতীয় রাজধানীতে কোভিড ১৯য়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৬৬,৮৮১ এবং মৃতের সংখ্যা ২৬,১৫৮তে দাঁড়িয়েছে।