সংক্ষিপ্ত
- দোতলা বাড়িতে এখনও গৃহপ্রবেশ হয়নি
- করোনা আক্রান্তদের জন্য় বাড়ি ছাড়তে রাজি তিনি
- বিধায়ক-মন্ত্রী ও জেলাশাসককে চিঠি চুঁচুড়ার বিশ্বজিতের
- তাঁর সদিচ্ছাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই
এ রাজ্যে করোনা বিপর্যয় নাড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে। মন এতটাই ভারাক্রান্ত যে, নিজের দোতলা বাড়িতেই আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করতে চান হুগলির চুঁচুড়ার এক ব্যক্তি। তাঁর সদিচ্ছাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই।
আরও পড়ুন: মানবিকতার নজির, করোনা মোকাবিলায় সরকারকে আর্থিক সাহায্য রায়গঞ্জের ব্যবসায়ীর
পোশাকি নাম বিশ্বজিৎ দে। তবে এলাকায় 'চঞ্চল দা' নামেই বেশি পরিচিত ওই ব্যক্তি। হুগলির চুঁচুড়ায় কামারপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু মাসে মাসে ভাড়া গুনতে আর কার ভালো লাগে! নিজের একটি বাড়ি হলে মন্দ হয় না। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। টাকা জমিয়ে কামারপাড়াতেই দোতলা বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। ইচ্ছা ছিল, সামনের বৈশাখে গৃহপ্রবেশও সেরে ফেলবেন। কিন্তু তা আর হল কই! করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এখন লকডাউন চলছে রাজ্যে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রোগীদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। কলকাতার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে করোনা আক্রান্তদের হিসেবে গড়ার তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: 'করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শক্তি দাও', তারাপীঠে যজ্ঞ করল তৃণমূল
এসব দেখে মন ভালো নেই বিশ্বজিতেরও। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, প্রশাসন যদি চায়. তাহলে নবনির্মিত দোতলা বাড়িটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির জন্য সানন্দে ছেড়ে দেবেন। শুধু তাই নয়, নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, চুঁচুড়ার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় ও জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও-কে চিঠি দিয়েছে বিশ্বজিৎ দে। চিঠি পাঠিয়েছে বিধায়ক অসিত মজুমদারকেও। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ধন্য ধন্য করছেন সকলেই। বিশ্বজিতের ইচ্ছা কী পূরণ হবে? স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, 'ওনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ছোট করব না। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে আপাতত বাড়িটি দরকার লাগবে না। বিশ্বজিতবাবু যে সদিচ্ছা দেখিয়েছেন, তা দৃষ্টান্তমূলক।'