সংক্ষিপ্ত
অ্যাক্টিভ কেসের হার মোট সংক্রমণের ৫.৫৭ শতাংশ। দেশে কোভিড -১৯ সংক্রমণে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.১৮ শতাংশ।
রবিবার অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রামিত হয়েছেন তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ (more then three lakh new cases)। পরিসংখ্যান বলছে ৩,৩৩,৫৩৩ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত এক দিন। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫২৫ জনের। মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৮৯,৪০৯। গোটা দেশে অ্যাক্টিভ করোনা কেসের সংখ্যা ২১,৮৭,২০৫।
২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে ৭৩,৮৪০ জন। দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৫৯,১৬৮ জন। মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৬৫,৬০,৬৫০। অ্যাক্টিভ কেসের হার মোট সংক্রমণের ৫.৫৭ শতাংশ। দেশে কোভিড -১৯ সংক্রমণে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.১৮ শতাংশ। দৈনিক পজেটিভিটির হার ১৭.৭৮ শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছে। সাপ্তাহিক পজেটিভিটির হার ১৬.৮৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, সমীক্ষা বলছে, তিনটি কোভিড তরঙ্গের তুলনামূলক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে তৃতীয় তরঙ্গের সময় মাত্র ২৩.৪ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল ৭৪ শতাংশ রোগীর ও প্রথম তরঙ্গের সময় ৬৩ শতাংশ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে দিল্লিতে এপ্রিলে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় যখন ২৮ হাজার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছিল, তখন সমস্ত হাসপাতালের কোনও বেড, পাশাপাশি, আইসিইউ খালি ছিল না। কিন্তু এই তৃতীয় তরঙ্গের সময় যখন গত সপ্তাহে বেশি সংখ্যক কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল, তখন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।
আরও পড়ুন- বাড়ছে নমুনা পরীক্ষা, কমছে সংক্রমণের হার, একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলার করোনা চিত্র
Covid 19: ওমিক্রনের সঙ্গে ডেল্টার তুলনা, গবেষণা বলছে মূল পার্থক্য ভাইরাল লোডে
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তরঙ্গের সময় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা যথাক্রমে ২০,৮৮৩, ১২,৪৪৪, এবং ১,৩৭৮ জন। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীরা মাস্ক পরতে পারে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয় বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। তারা কতক্ষণ সুরক্ষিতভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে পারছে, তার উপর নির্ভর করে এবং অভিভাবকদের নজরদারিতেই এই বয়সীদের মাস্ক পরানো উচিত বলে মত কেন্দ্রের। তবে একই সাথে ছোটরা যারা মাস্ক পরবে, তাদের ক্ষেত্রে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া অথবা অ্যালকোহল-যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায়।
এদিকে, করোনাভাইরাসের ক্রমতালিকা সাত নম্বরে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। দৈনিক সংক্রমণ ১৬ হাজার ১৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২জনের। অনেকটাই পিছনের দিকে রয়েছে পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ড। তবে উত্তর প্রদেশ ও পঞ্জাবে টিকার হার কিছুটা কম। গোয়ার ১০০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।