করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। কিছুদিনের জন্য স্কুল কলেজ খুললেও পুনরায় বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দোকান-বাজার খোলা থাকলেও বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার। পুনরায় কলেজ-স্কুল খোলার দাবিতে প্রতিবাদ শুরু হয় জেলায় জেলায়। সপ্তাহের প্রথম দিনেও দেখা গিয়েছিল সেই একই ছবি। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা রাজ্যে খুলে দেওয়া হবে স্কুল-কলেজ।
৩ জানুয়ারি থেকে খুলে যাবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের দরজা। আর পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় তৈরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাড়ে তিন হাজারের নিচে নেমে এল বাংলার দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। তবে উদ্বেগে রেখেছে দৈনিক সংক্রমণের হার।
এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে দেশ জুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ। এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ যোগ্য ভারতীয় টিকা পেয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২.৩৪ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। এরইমধ্যে দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র ছাড়াও দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।
কর্ণাটকের (Karnataka) কোভিড গ্রাফ (Covid Graph)নিম্নমুখী। তাই এবার নাউট কার্ফু (Night Curfew) তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটক সরকার (Karnataka Government)। ৩১ জানুয়ারি থেকে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) খুলতে চলেছে স্কুল।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০৫। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫১২ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৯ জন।
আমরির পর ফের রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজন কোভিড রোগীর মৃত্য়ু হয়েছে, কোভিড ওয়ার্ডে হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
আশার কথা এই যে বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ১৫.৮% থেকে কমে ১৩.৩৯% নেমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৩৯ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন গোটা দেশে।
NeoCov ভেরিয়েন্টটি SARS-CoV ভাইরাস (sarbecovirus) থেকে খুব আলাদা এবং merbecovirus এর অন্তর্গত যা একটি ভিন্ন গোত্রের। এটি মানুষের ACE2 সংক্রামিত করতে পারে না কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে এটি SARS-এর সাথে একত্রিত হয়ে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।