বুধবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৮৮৪। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৭ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ ডক্টর মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, মহামারি এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি। ভবিষ্যতের করোনার রূপগুলি ওমিক্রনের থেকেই বেশি সংক্রামক হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন ওমিক্রম শেষ স্ট্রেইন হবে - এমনা ধারনা করা ঠিক নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায় এটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের প্রভাবশালী স্ট্রেইনগুলির মধ্যে একটি। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় বলেও জানান হয়েছে। কিন্তু এটির মাধ্যমে সংক্রমিত হলে অসুস্থতা তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয় না।
সোমবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬৪১। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৬ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন।
এখন অনেক রোগীই করোনার বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছেন ঠিকই কিন্তু কোভিড টেস্ট করালেই আসছে নেগেটিভ। এমন বিড়ম্বনায় কী করণীয় তা ভেবে পান না অনেকেই।
অভিবাসী শ্রমিকদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন বাসের মত গণপরিবহন ব্যবস্থা। তাদের বাড়ি ফেরার উপায় ছিল না।
রবিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৮৩৫। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪১ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫ জন।
গত সপ্তাহে, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে চিঠি দিয়ে তাকে সরাসরি শুনানি শুরু করার আবেদন জানায়। তাদের আবেদনে বলা হয় যে গত দুই সপ্তাহে দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীরা কঠিন পরিস্থিতিতে ও প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই দেশবাসীকে টিকা দিয়েছেন। তাঁর একটি দূর্দান্ত পরিষেবা প্রদান করেছেন। তিনি আরও বলেছেন সার্বজনীন টিকাদানের লক্ষ্যে অর্জনের জন্য আরও বেশি ফোকাস ও আরও বেশি সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি জানিয়েছেন।
রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তরপর্বে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোন বয়সের গোষ্ঠীকে প্রথমে COVID-19 টিকা দেওয়া হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে এবং সেই অনুযায়ী ১৫-১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকা দেওয়া হচ্ছে।