২৮ জানুয়ারির বুলেটিন বলছে এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়, ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতায়।
বিজ্ঞানীরা সতর্কতা জারি করেছেন যে এটি এমন একটি মিউটেশন যা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম MERS-CoV এর সাথে সম্পর্কিত এবং ২০১২ ও ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যে মহামারীর সঙ্গে যুক্ত।
এবার আর টিকা নেওয়ার জন্য সূচ ফোটানোর প্রয়োজন হবে না। নাক দিয়ে টেনেও নেওয়া যাবে করোনার টিকা। বহু দিন ধরেই এই টিকার উপর কাজ করছিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। আর এবার তাদের ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের উপর ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ।
রাজ্যের স্কুল খোলা নিয়ে কাটেনি জটিলতা। শুক্রবার কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা নিয়ে সওয়াল-জবাব চলল কলকাতা হাইকোর্টে। এনিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সূত্রের তরফে জানানো গিয়েছে, করোনা সব বয়সের শিশুর উপরই প্রভাব ফেলেছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যুর হার ও আক্রান্ত হওয়ার হারও অনেকটাই কম। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরার উপযুক্ত সময়।
এদিকে রাজ্যের করোনা বুলেটিন বলছে কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৭২৯, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫১২।
কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক ও কোভিশিল্ড নির্মাতা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে দিয়েছিল। ১৯ জানুয়ারি সেই তথ্য নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করে কোভিড বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারপরই তা বাজারে বিক্রি করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সরকার মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য ব্যাপক হারে টিকা দিচ্ছে। সেই কারণেই আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম। ওমিক্রন আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষই হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণযুক্ত। এরা মূলত হোম-আইসোলেশনে রয়েছে। অক্সিজেন ও আইসিইউ শয্যার চাহিদাও করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় অনেকটা কম।
আদালতের প্রধান বিচারপতি, বিচারক সহ অনেকেই করোনার আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে আদালত থেকে তিনটি গেটের মধ্যে একটি গেট খোলা রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কেরলে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা ৩,০০,৫৫৬ দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫২,২৮১। সব মিলিয়ে কেরলের করোনা সঙ্কটের কথা থেকে কপালে চিন্তার ভাঁজা চওড়া হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালেও।