দেশে শুরু হয়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ওয়েভ। সেই ঢেউতে কুপোকাত রাজধানী দিল্লিও। তাই এক সময়ে করোনায় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশে পৌঁছে গেলেও দিল্লিতে নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কোভিড টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার। তবে সেক্ষেত্রে আধার কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
বিশ্বব্যাপী আশা জাগিয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। কিন্তু সেই ভ্যাকিসনের তৃতীয় তথা সর্বশেষ পর্যায়ের ট্রায়াল সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। ব্রিটেনে একজন ভ্যাকসিন গ্রহীতা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আপাতত তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
করোনাভাইরাসে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারেরও বেশি। রবি ও সোমবার পরপর দুদিনই আক্রান্তের গড় ছিল ৯০ হাজার। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে হয়েছে ৭৫ হাজার। তবে হত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় দেশের মানুষকে আশ্বস্থ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রেকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে দেশে গড় আক্রান্তের সংখ্যা এখনও বিশ্বের সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারও আগের তুলনায় অনেকাই কমেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব করোনা বিশ্বের ক্রম তালিকায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারত। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতদিনে পিছু ছাড়বে, তার ঠিক নেই। এর মধ্যে পরের অতিমারীর জন্য গোটা বিশ্বকে তৈরি হতে বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসুস। পরের অতিমারীর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।