সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচে সচিনের অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বেশি
- রবিবার আরও এক ভারত-পাক বিশ্বকাপ মোকাবিলা
- তার আগে বিরাট-রোহিতদের জন্য সচিন দিলেন পরামর্শ
- শরীরি ভাষার উপরই সবচেয়ে বেশি জোর দিলেন তিনি
রবিবার ফের একবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। আর তার আগে বিরাট কোহলি রোহিত শর্মাদের জন্য পরামর্শ এল স্বয়ং ক্রিকেট দেবতার বরপুত্র সচিন তেন্ডুলকরের কাছ থেকে।
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায়, ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা এর আগে ছয়বার হয়েছে। প্রত্যেকবারই ভারত বিজয়ী হয়েছে। আর একমাত্র ২০১৫ সাল ছাড়া বাকি পাঁচবারই এই ম্য়াচে খেলেছেন সচিন তেন্ডুলকার। ইমরান খান থেকে শোয়েব আখতার বেশ কয়েক প্রজন্মের পাক জোরে বোলারদের মোকাবিলা করেছেন তিনি এই ম্যাচে। আছে বেশ কিছু স্মরণীয় ইনিংস। কাজেই তাঁর থেকে এই ম্য়াচ সম্পর্কে ভাল ধারণা আর কার রয়েছে? সেই বিপুল অভিজ্ঞতা, ক্রিকেট বোধ উজার করে দিলেন সপ্তম ভারত-পাক বিশ্বকাপ মোকাবিলার আগে।
আরও পড়ুন: বিরাটই দ্রোণাচার্য, অন্তরালে তৈরি হচ্ছেন একলব্য 'পাকিস্তানের কোহলি'
পাকিস্তানের বোলিং-এর এখনকার আক্রম-ওয়াকার হলেন মহম্মদ আমির এবং ওয়াহাব রিয়াজ। সচিন সাফ বলে দিয়েছেন এই দুই বোলারের প্রধান নিশানা হবেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। কারণ তাঁরাই বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান ব্য়াটসম্যান। কাজেই তাঁদের তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিতে পারলে ম্য়াচটা অনেকটাই নিজেদের দিকে নিয়ে যেতে পারবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ভারত ম্যাচের আগেই এলেন বিবি-বাচ্চারা! রেগে বোম প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার
কিন্তু, তাই বলে পাক পেসারদের জন্য নিজেদের খেলায় কোনও রকম বদল যেন বিরাট-রোহিতরা না আনেন, এই ব্য়াপারে সাবধান করে দিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর মতে ভারত-পাক ম্য়াচ মানসিক জোরের খেলা। কাজেই বোলারদের কিছুতেই মাথায় চড়তে দেওয়া যাবে না। আগের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ আমির। তাই বলে তাঁকে সাবদানে খেলার কিছু নেই। সিনের মতে বরং ভারতীয়দের তাঁকেই বেশি করে আক্রমণ করা উচিত। আগ্রাসী ক্রিকেট কেলা উচিত।
আরও পড়ুন: অভিনন্দনকে অপমান, বদলা অন্তর্বাস খুলে! পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব পুনমের, দেখুন ভিডিও
তিনি জানান, তিনি হলে কখনই আমিরের ওভারগুলি দেখেশুনে, বেশি বেশি ডট বল দিয়ে খেলতেন না। কারণ টিকে থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়। তাতে বোলাররাই মানসিক জোর পাবে। তাঁর মতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাকিস্তানি বোলারের বিরুদ্ধে যদি রক্ষণাত্মক শট খেলতে হয়, তাহলেও শরীরি ভাষা ইতিবাচক রাখতে হবে। যদি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রক্ষণাত্মক শট খেলা যায়, তাহলে বোলার বুঝবে ব্য়াটসম্যানই খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করছেন।