সংক্ষিপ্ত
টেস্ট সিরিজে (Test Series) পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া (Australia beat Pakistan)। তৃতীয় টেস্টে বাবর আজমের দলকে ১১৫ রানে হারাল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins)দল। এই জয়ের ফলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ব্যাগি গ্রিনরা।
২৪ বছর পর পাকিস্তান সফরে (Pakistan Tour) গিয়ে জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। প্রথম দুটি টেস্ট ড্র হওয়ার পর গদ্দাফি স্টেডিয়ামে তৃতীয় টেস্ট ছিল সিরিজ নির্ণায়ক। আর শেষ টেস্ট ঝুঁকি নিয়েও শেষ হাসি হাসল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) দল। শুধু শেষ টেস্ট জয়ের ফলে ৩ ম্য়াচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিল ব্য়াগি গ্রিনরা। তৃতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৭৮ রান। হাতে ছিল সবকটি উইকেট। পাক সমর্থকরা ভেবেছিল প্রথম দুটি টেস্টে যেভাবে ব্য়াটিং করেছে তাদের তাতে শেষ দিনে টার্গেট চেজ করে ফেলতে পারে বাবার আজমরা (Babar Azam)। কিন্তু ৩৫১ রানের টার্গেট দিয়ে পাকিস্তানকে চারটি সেশন ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়ে যে কোনও ভুল করেননি তিনি, তা পঞ্চম দিনে প্রমাণ করে দিল প্য়াট কামিন্সের দল। ন্যাথান লায়নে স্পিনের ছোঁবলে ২৩৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। একটি করে উইকেট নেন ক্য়ামেরন গ্রিন ও মিচেল স্টার্ক। তৃতীয় টেস্ট ১১৫ রানে জিতে সিরিজও পকেটে পুরল অস্ট্রেলিয়া।
ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে দলগত প্রয়াসে ৩৯১ রান করে ব্য়াগি গ্রিনরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন উসমান খোয়াজা। এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন করেছিলেন ৭৯ রান, অ্যালেক্স ক্যারে করেছিলেন ৬৭ রান ও স্টিভ স্মিথ করেছিলেন ৫৯ রান। পাকিস্তানের হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন নউমান আলি ও সাজিদ খান। প্রথম ইনিসংসে রান তাড়া করতে নেমে ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে য়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস খেলেন আবদুল্লা শাফিক। এছাড়াও ৭৮ রান করেন আজহার আলি ও ৬৭ রান করেন বাবর আজম। অজিদের হয়ে প্রথম ইনিসংসে ৫টি উইকেট নেন প্য়াট কামিন্স ও ৪টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। একটি উইকেট নিয়েছিলেন ন্য়াথান লিঁয়।
প্রথম ইনিংসে ১২৩ রানের লিড পায় অজিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রানে ৩ উইকেট ইনিংস ডিক্লেয়ার করে অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি করেন উসমান খোয়াজা। ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৬ রান করেন লাবুশানে। ৩৫১ রানে টার্গেট দিয়ে প্য়াট কামিন্সের ইনিংস ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তারউপর চতুর্থ দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল বিনা উইকেট ৭২। ফলে পঞ্চম দিনে যে কোনও দিকে যেতে পারত ম্য়াচ। কিন্তু শেষ দিনের উইকেট ন্যাথান লিঁয়-র স্পিন সামলাতে পারল না বাবার আজমের দল। ইমান উল হক ৭০ ও বাবর আজমের ৫৫ রানের ইনিংস ছাড়া কোনও পাক ব্য়াটসম্য়ান লড়াই করতে পারেনি। ২৩৫ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। দীর্ঘ ২ যুগ পর পাক সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজ জয়ে খুশি ব্যাগি গ্রিনরা।
আরও পড়ুনঃঅধিনায়ক, ব্যাটসম্যান থেকে উইকেট রক্ষক, আইপিএলে সব কিছুতেই একাধিক রেকর্ডের মালিক এমএস ধোনি
আরও পড়ুনঃআইপিএল ২০২২-এর প্রথম ম্য়াচে কেমন হতে পারে কেকেআরের প্রথম একাদশ, দেখে নিন এক নজরে
আরও পড়ুনঃবিশ্বের সেরা ১০ ধনী ক্রিকেটারের তালিকায় কত জন ভারতীয়, দেখে নিন এক ঝলকে