সংক্ষিপ্ত
- পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ২টি টেস্টের আগে ইংল্যান্ড শিবিরে দুঃসংবাদ
- দুটি ম্যাচে দলের সহ অধিনায়ক বেব স্টোকসকে পাবে না দল
- পারিবারিক কারণে নিউজিল্যান্ডে যাবেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার
- ফলে শেষ দুই ম্যাচে ইংল্যান্ডের অস্বস্তি কিছুটা বাড়ল
শনিবারই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড দল। দীর্ঘ দিন পর মাঠে নেমে পাকিস্তানের লড়াকু ক্রিকেট নজর কেড়েছে সকলের। তবে অবশেষে জয় পেয়ে স্বস্তিতে ব্রিটিশ লায়ন্সরা। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে বড় ধাক্কা ইংল্যান্ড শিবিরে। দুটি টেস্টেই দলের সহ অধিনায়ক ও নির্ভরযোগ্য অল রাউন্ডার বেন স্টোকসকে পাবে না দল। না কোনও চোট সমস্যা নয়, পারাবারিক কারণে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছেন স্টোকস। সেই কারণেই শেষ দুটি ম্যাচে খেলবেন না ইংল্যান্ড সহ অধিনায়ক।
আরও পড়ুনঃভিভোর না থাকা কোনও প্রভাব ফেলবে না, বিসিসিআই যথেষ্ট শক্তিশালী,মন্তব্য সৌরভের
বেন স্টোকসের না থাকার বিষয়টি একটি বিবৃতি জারি করে জানা হয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছে আগামী ১৩ অগস্ট এবং ২১ অগস্ট থেকে অ্যাজিয়াস বোলে শুরু হতে চলা বাকি দু‘টি টেস্টে অলরাউন্ডারকে পাবে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে চলতি গ্রীষ্মে প্রথম চারটি ম্যাচ খেললেও পারিবারিক কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু‘টি টেস্টে থাকতে পারছেন না বেন স্টোকস। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বজয়ের নায়ক স্টোকসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। স্টোকসের পরিবার এবং তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সম্মান রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসিবি।
আরও পড়ুনঃ'পাক সেনার উন্নতিতে অর্থের জোগান দিতে ঘাস খেয়েও থাকতে রাজি',মন্তব্য শোয়েব আখতারের
আরও পড়ুনঃলকডাউনের মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেটে বাজল বিয়ের সানাই, প্রেম পেল পরিণতি, দেখুন বিয়ের অ্যালবাম
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডজাত স্টোকস জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুবাদে ইংল্যান্ডে থাকলেও তাঁর বাবা জেড স্টোকস তাঁর মায়ের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডেই থাকেন। বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতেই চলতি সপ্তাহের শেষে নিউজিল্যান্ড উড়ে যাবেন তিনি। তবে পারিবারিক কী কারণে নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছেন স্টোকস সে বিষয়ে সঠিক কিছুই জানা যায়নি। ফলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্টোকসকে না পাওয়া পাকিস্তানকে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ দেবে ও ইংল্যান্ডের দলের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।