সংক্ষিপ্ত
- ফের বাংলার ক্রিকেট মহলে করোনা ভাইরাসের থাবা
- এবার আক্রান্ত সিএবির আম্পায়ার এলভিস জ্যাকসন
- সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এলভিস জ্য়াকসনের স্ত্রীও
- বর্তমানে দুজনেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে
রাজ্য ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যা ক্রমশ মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রশাসনের কাছে। রাজ্যের ক্রীড়া ক্ষেত্রেও একই হাল। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। বিশেষ করোনা বঙ্গ ক্রিকেটে নিজের মারণ থাবা ক্রমেই বাড়াচ্ছে কোভিড ১৯। এবার সিএবির এক আম্পায়ার আক্রান্ত হলেন এই এই প্রাণ পিপাসু ভাইরাসে। আক্রান্ত আম্পায়েরর নাম এলভিস জ্যাকসন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকরা তার দেখভাল করছেন।
আরও পড়ুনঃফের দেখা মিলবে লর্ডসের দৃশ্য,কবে শার্ট খুলে ওড়াবেন জানালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
বঙ্গ ক্রিকেটে এলভিস জ্যাকসনই প্রথম আম্পায়ার যিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। তার পরিবারেও হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে এলভিস জ্যাকসনের স্ত্রীরও। দুজনই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। রেলে কর্মরত জ্যাকসনের স্ত্রী। সম্প্রতি জ্যাকসন ও তাঁর স্ত্রী কারও সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই আতঙ্ক আরও বেড়েছে সিএবি সহ বাংলা ক্রিকেটের অন্দরে। যেভাবে বঙ্গ ক্রিকেটে একের পর এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে সকলেরই মধ্যেই।
আরও পড়ুনঃইষ্টবেঙ্গল-এটিকে মোহনবাগান ডার্বি দিয়ে শুরু হতে পারে কলকাতা লিগ
বাংলার ক্রিকেট মহলে করোনা আক্রান্তের খবর নতুন নয়। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাংলা ক্রিকেট দলের বর্তমান সিলেক্টর সাগরময় সেন শর্মা। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। করোনার প্রকোপ থেকে বাদ যায়নি বিসিসিআইয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের পরিবারও। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়েপ বউদি, অর্থাৎ স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাংলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার স্ত্রীও। এছাড়া সিএবির একাধিক কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে। এবার তার নবতম সংযোজন আম্পায়ার এলভিস জ্যাকসন। আগামী সপ্তাহ থেকে ইডেন গার্ডেন্সও পরিণত হতে চলেছে কলকাতা পুলিসের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ফলে আনলক পর্বে সংক্রমণ কমা তো দূর, তা আরও বেড়েই চলেছে।