সংক্ষিপ্ত
- বেজে গিয়েছে আইপিএল ২০২০-র দামামা
- আরব পৌছে গিয়েছে বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি
- কিন্তু ইউএই-তে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
- যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও চিন্তা
দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে আইপিএল করতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। সব দিক বিচার বিবেচনা করে আরব আমিরশাহিকেই আইপিএলের জন্য সুরক্ষিত ভ্যেনু হিসেবে বেছে নিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ইতিমধ্যেই আইপিএলের বেশিরভাগ দল পৌছে গিয়েছে মরু দেশে। সেখানে পৌছে আলাদা হোটেলে উঠেছে সবকটি দল। কার্যত আইসোলেশেনে রাখা হয়েছে সবকটি দলকে। আগামি ৬ দিনে তিন বার করোনা পরীক্ষা করা হবে সকলের। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেই নামতে পারবেন অনুশীলনে।
আরও পড়ুনঃটিকিট ছিল বিজনেস ক্লাসের, তারপরও কেন ইকোনমি ক্লাস বসে আরব গেলেন ধোনি
এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল উদ্বেগের কোনও কারণ ছিল না। এই সব কিছুই হচ্ছে বিসিসিআইয়ের নির্মিত এসওপি মেনেই চলছে। কিন্তু আশঙ্কার খবর হল যে ভয়ের কারণে দেশের মাটিতে আইপিএল করল না বিসিসিআই, সেই করোনা ভাইরাসের গ্রাফ বর্তমানে উর্ধ্বমুখী সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। প্রতিনিয়ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের। শুধু তাই নয়, বর্তমানে প্রতিদিন দিন সেখানে প্রায় ৪০০ জনকে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। ওই দেশের আয়তনের বিচারে যা সত্যিইব চিন্তার। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই কিছুটা হলেও আতঙ্ক ও চিন্তা বেড়েছে সকলের মধ্যেই।
আরও পড়ুনঃনিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ, তা জেনেও আইপিএল ১৪ সহ বোর্ডের একবছরের পরিকল্পনা তৈরি সৌরভের
আরও পড়ুনঃচাহলের পর বাগদান সারলেন বিজয় শঙ্কর, আইপিএলের আগেই শুরু করলেন জীবনের নতুন ইনিংস
যদিও আইপিএল নিয়ে এখনও কোনও উদ্বেদগের কারণ নেই বলেই জানা গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ও সূচি মেনেই হবে আইপিএল। তবে প্লেয়ারদের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। থ্রি ডি সিকিওরিটির মধ্যে রাখা হচ্ছে প্লেয়ারদের। তৈরি হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ও। সেইব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ডের সংস্থা রিস্ট্রাটাকে। যারা ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের জৈব সুরক্ষা বলয়ের দায়িত্বে ছিল। দুবাইয়ের একটা মেডিক্যাল সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে যারা হোটেলে ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার দিকটা দেখবে। ফলে আইপিএল শুরু ঠিক আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির করোনা উর্ধ্বমুখী হওয়ায় কিছুটা হলেও চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে আইপিল গভর্নিং কাউন্সিল ও বিসিসআই কর্তাদের মাথায়।