সংক্ষিপ্ত

  • ফের মহম্মদ হাফিজের করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজেটিভ
  • পাকিস্তানের ১০ ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত বলে ধরা পড়ে
  • সেখানে আক্রান্তদের তালিকায় নাম ছিল মহম্মদ হাফিজের
  • কিন্তু তিনবার তিন ধরনের রিপোর্ট আসায় রহস্য পাক ক্রিকেটে
     

অবাক কাণ্ড পাকিস্তানে। তিন বার আলাদা আলাদা করোনা ভাইরাসের টেস্ট রিপোর্ট পাকিস্তান অলরাউন্ডার মহম্মদ হাফিজের। ক্রিকেট মহলে কার্যত রহস্যের অপর নাম হয়ে উঠেছে হাফিজের করোনা টেস্টের রিপোর্ট। গত সোমবার পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার শাদাব খান, হায়দার আলি, হরিশ রউফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মঙ্গলবারের রিপোর্ট ধরা পড়ে মারণ ভাইরাসে আক্রকান্ত হয়েছেন আরও সাতজন। সেখানে ছিল হাফিজের নামও। সকলকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে। কিন্তু বুধবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফের করোনা টেস্ট করান হাফিজ। আশ্চর্যজনকভাবে বুধবারে হাফিজের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই রিপোর্টের কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন পাক তারকা। 

আরও পড়ুনঃপরিবারে একের পর এক করোনার থাবা,রাতের ঘুম কেড়েছে সৌরভের

হাফিজের ব্যক্তিগত রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরই স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান বোর্ডের করোনা টেস্টের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও পাক বোর্ড হাফিজের দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা পুনরায় হাফিজের লালা রস পরীক্ষার জন্য পাঠায় শওকত খানুম মেমোরিয়াল হাসপাতালে, যেখানে প্রথম দফায় ক্রিকেটারদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাতেও হাফিজকে পজিটিভ বলে ঘোষণা করা হয় রিপোর্টে। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কার রিপোর্ট ঠিক? আর কারটা ভুল? হাফিজের রিপোর্ট নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। 

আরও পড়ুনঃপাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে 'খুনের' হুমকি দিলেন সানিয়া মির্জা

আরও পড়ুনঃঅভিষেকেই ৮০ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিলেন 'মেক্সিকান মেসি'

হাফিজের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনার কথাও ভাবছে পাক ক্রিকেট বোর্ড। কারণ পাক বোর্ডের রিপোর্ট করার পরও কেনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফের পরীক্ষা করালেন হাফিজ। আর সেই রিপোর্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার কারণেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাক বোর্ড। শনিবার আরও এক দফার রিপোর্ট আসার কথা পাক ক্রিকেটারদের। সেখানেও যদি হাফিজের রিপোর্ট পজেটিভ আসে, তাহলে পাক তারকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সিদ্ধান্তও নিতে পারে পিসিবি। বাতিল হতে পারে তার ইংল্যান্ড সফরে যাওয়াও। আগামী রবিবার ইংল্যান্ড রওনা হওয়ার কথা পাকিস্তান দলের। শেষ পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাস বাবর আজমদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় কি না, সেটাই এখন দেখার।