সংক্ষিপ্ত

লর্ডস টেস্টে (Lords Test) নিউজিল্য়ান্ডকে ৫ উইকেটে হারাল ইংল্য়ান্ড (Eng vs NZ)। শেষ ইনিংসে জো রুটের শতরানে ভর করে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বেন স্টোকসের (Ben Stokes)দল। 
 

জো রুটের শতরানের ইমিংসে ভর করে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দুরন্ত জয় পেল ইংল্যান্ড। ৫ উইকেটে কেন উইলিয়ামসনের দলকে হারাল বেন স্টোকসের দল। ইংল্য়ান্ড টেস্ট দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে জয় দিয়ে শুরু করল বেন স্টোকস। একইসঙ্গে প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট অনবদ্য ব্যাটিং করে দলকে জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও ছুঁলেন অনন্য নজির। ১০ হাজার রানের মাইল স্টোন স্পর্শ করলেন ব্রিটিশ তারকা। দ্বিতীয় ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান হিসেবে এই মাইলফলক ছুলেন জো রুট। একইসঙ্গ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ১৪ তম ব্য়াটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের গণ্ডী টপকালেন।  টানা খারাপ পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেটের মক্কায় প্রিয় দল জয়ে ফেরায় খুশি ইংরেজ সমর্থকরাও। ৩ ম্য়াচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয় পেল ইংল্যান্ড।

 

 

লর্ডসে ম্য়াচের প্রথম দিন থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী ছিল ক্রিকেট প্রেমিরা। টস জিততে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ইংল্য়ান্ড পেস অ্যাটাকের আগুনে বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্ববোচ্চ ৪টি করে উইকেট নেন জিমি অ্যান্ডারসন ও বেন স্টোকস। একটি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও বেন স্টোকস। প্রথম ইনিংসে ব্য়াটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় ইংল্যান্ড দলও। ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায়  ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন জ্যাক ক্রাউলি। কিউইদের হয়ে ৪টি উইকেট নেন টিম সাউদি, ৩টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, ২টি উইকেট নেন কাইল জেমিসন ও ১টি উইকেট নেন গ্র্যান্ডহোম। প্রথম ইনিংসে ৯ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।

 

 

দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্য়ান্ডের মান রক্ষা করেন ডায়ার্ল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল। একসময় ইংলযান্ড বোলিং অ্যাটাকের সামনে ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল কিউইরা। সেই সময় মিচেল ও ব্লান্ডেল দুজন মিলে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন। ১৯৫ রানের অনবদ্য পার্টমারশিপ করে ম্যাচ জমিয়ে দিনে। সেঞ্চুরি করেন মিচেল। ১০৮ রান করেন তিনি। ৯৬ রানে আউট হন টম ব্লানডেল। তারা আউট হওয়ার পর ২৮৫ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ৯ রানের লিড বাদ দিয়ে বেন স্টোকসের দলের টার্গেট দাঁড়া ২৭৭ রান। ব্য়াট করতে নেমে ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড দলও। সেখান থেকে জো রুট ও বেন স্টোকস দলকে টেনে নিয়ে যান। ৯০ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ৫৪ রান করে আউট হন স্টোক। এরপর উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান বেন ফোকসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান রুট। নিজের শতরানও পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জো রুট ও ৩২ রানে ক্রিজে ছিলেন বেন ফোকস।