সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাস ছড়ায় থুতু,লালা, সর্দি, কাশি, হাঁচি থেকে
  • যার ফলে ভবিষ্যতে টেস্ট ক্রিকেট আমূল পরিবর্তন আসতে পারে
  • আইসিসি বন্ধ করে দিতে পারে ঘাম বা থুতু দিয়ে বলের পালিশ
  • এমনটাই মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার প্যাট কামিন্স
     

বিশ্ব জুড়ে নিজের মারণ থাবা অব্যাহত রেখেছে করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ লক্ষ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে  ১ লক্ষ ৭০ হাজার।  পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় গোটা পৃথিবী জুড়েই চলছে লকডাউন। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রবাব বিস্তার করেছে কোভিড ১৯। আগামী দিনে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্ব ক্রীড়া ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে সব খেলাতেই আসতে পারে আমূল পরিবর্তন। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আসতে পারে এমন এক পরিবর্তন যা লাল বলের ক্রিকেটের জন্ন লগ্ন থেকে জড়িত। তা হল থুতু দিয়ে বল পালিশ করা। করোনা ভাইরাস লাগাম লাগাতে পারে এই নিয়মে। যার ফলে সমস্য়ায় পড়তে হতে পারে পেস বোলারদের। এমনটাই মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেস বোলার এই মুহূর্তে বিশ্ব সেরা পেস বোলার প্যাট কামিন্স।

আরও পড়ুনঃলকডাউনে গার্হস্থ্য হিংসা রোধে সচেতনতার বার্তা ভারতীয় ক্রিকেটার সহ বলিউড তারকাদের

আরও পড়ুনঃ২৩ এপ্রিল আইসিসির বৈঠক,আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা

নতুন বলের পালিশ ঠিক রাখতে ঘাম কিংবা লালা ফাস্ট বোলারদের অন্যতম বড় একটা অস্ত্র। এবং ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার চোখে তা বৈধও বটে। কিন্তু করোনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে করোনা পরবর্তী সময় অবৈধ বলে পরিগণিত হতে পারে বোলারদের এই অস্ত্র। অর্থাৎ বলের পালিশ ঠিক রাখতে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে পারে লালা কিংবা ঘামের ব্যবহার। ফলে করোনা পরবর্তী সময় লাল বলের ক্রিকেট বোলারদের জন্য কঠিন হতে চলেছে। এমনটাই মনে করেন অজি ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স। করোনা ভাইরাস মূলত মানুষের শরীরের ড্রপলেট অর্থাৎ থুতু,লালা, সর্দি, কাশি, হাঁচি থেকে ছড়ায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বা রিসার্চ মোতাবেক ক্রিকেটারদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাটা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বল পালিশ করতে কোনও বোলার বা দলের একাধিক ক্রিকেটার তাদের ড্রপলেট ব্যবহার করলে রোটেশন পদ্ধতিতে তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ড্রেসিংরুম থেকে গ্যালারি অবধি। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেই লাল বলের ক্রিকেটে পুরনো প্রথা চালু থাকলে তা ভীষণ ঝুঁকির হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এপ্রসঙ্গে কামিন্স বলছেন, ‘আমরা বোলাররা যেভাবে বলের পালিশ ঠিক রাখতাম বলকে চকচকে রাখতাম সেটার কোনও বিকল্প নেই। তাই বোলার হিসেবে আমার মনে হয় আমাদের জন্য লাল বলের ক্রিকেট ভীষণ কঠিন হতে চলেছে।’

আরও পড়ুনঃকরোনা মহামারীর জেরে পিছিয়ে গেল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা