সংক্ষিপ্ত
- কেকেআর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অনুশীলন নিয়ে সমস্যা
- অনুশীলন নিয়ে তুমুল নাটকের সৃষ্টি হয় আবুধাবিতে
- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামে আইপিএল চেয়ারম্যান
- দফায় দফায় আবুধাবির শেখদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা
মরু দেশে অনুশীলনে নামা নিয়ে সমস্যায় কেকেআর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গত সপ্তাহেই আইপিএল খেলতে আরব আমিরশাহি পৌছে গিয়েছে আইপিএলের দলগুলি। কেকেআর ও মুম্বই দল রয়েছে আবুধাবিতে। নিয়মমাফিক ৬ দিনের কোয়ারেন্টাই পর্ব শেষ করে ও করোনা টেস্ট পাস করে অনুশীলনে নামার কথা বলতেই তৈরি হয় সমস্যা। কেকেআর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যা মানতে অস্বীকার করে কেকেআর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর এই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মরু দেশে চলে তুমুল নাটক।
আরও পড়ুনঃআইপিএল শুরুর আগেই দুঃসংবাদ কেকেআরে, চোটের কারণে ছিটকে গেলেন তারাক বিদেশি পেসার
আসলে দুবাই এবং আবু ধাবি আমিরশাহির অন্তর্ভুক্ত হলেও দুটি জায়গার কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম সহ একাধিক প্রশাসনিক নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। বিদেশ থেকে করোনা মুক্ত হয়ে আসলে দুবাইতে কোয়ারেন্টাইনের দিন সংখ্যা ৬। কিন্তু কোয়ারেন্টাইনের সেই দিন সংখ্যাই আবুধাবির ক্ষেত্রে ১৪। আবুধাবিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই এই নিয়ম করা হয়েছে। যা অজানা ছিল আইপিএলের দলগুলির। যা জানার পর কার্যত মাথায় হাত পড়ে দুই দলের। আবুধাবির শেখরাও নিয়ম শিথিল করতে রাজি নয় বলে জানান। যা নিয়ে আইপিএল শুরুর আগে বিস্তর জল ঘোলা হয়ে মরু দেশে।
আরও পড়ুনঃআইপিএলের ইতিহাসে কিছু সেরা ইনিংস, যা অমলিন থাকবে ক্রিকেট প্রেমিদের মনে
আরও পড়ুনঃ২২ গজে ভূত দেখা থেকে কোহলিদের মারপিঠ, আইপিএলের খেউড় জমিয়ে দিয়েছে এই সব ছবি
পরিস্থিতি সামল দিতে আসরে নামেন বিসিসিআই ও আইপিএল কর্তারা। সমস্যার সমাধান করতে উপস্থিত হন আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল ও হেমাঙ্গ আমিন। তারা বোঝানোর চেষ্টা করেন শেখদের। তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন আইপিএল কর্তারা। বোধানোর চেষ্টা করা হয় এমনিতেই প্লেয়াররা দীর্ধ দিন অনুশীলনের বাইরে। সেখানে আরও ৭ দিন ঘরে আটকা থাকলে অনুশীলনের সময় আরও কমে যাবে। অবশেষে আইপিএল কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর গলে বরফ। শিথিল হয় নিভৃতাবাস নিয়ম। বাধ্যতামূলক চোদ্দো দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব দুবাইয়ের মতো ছ’দিনেই নামিয়ে আনা হয়। অনুশীলন শুরু অমুমতি পায় কেকেআর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।