সংক্ষিপ্ত
- নিজের কেরিয়ারের অন্যতদম গোপন তথ্য ফাঁস করলেন মহম্মদ সামি
- ২০১৫ গোটা বিশ্বকাপ ভাঙা হাঁটু নিয়ে খেলেছিলেন ভারতীয় পেসার
- ইনস্টাগ্রামে লাইভ চ্যাটে ইরফান পাঠানকে বললেন মহম্মদ সামি
- অধিনায়ক ধোনি সহ গোটা দল তার পাশে ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি
আরও পড়ুনঃএবার এশিয়া কাপ নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারী দিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান
পুরো বিশ্বকাপ সুস্থ ছিলেন না সামি। কাতরেছেন যন্ত্রণাতেও। কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। তবু দেশের কথা ভেবে খেলেছেন পুরো বিশ্বকাপ। শামি বলছিলেন, “বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আমার হাঁটু ভেঙে যায়। আমার হাঁটু আর ঊরু যেন সমান সমান হয়ে গেছিল। চিকিৎসকরা প্রতিদিন আমার হাঁটু থেকে রস বের করতেন। দিনে তিনটে করে বেদনানাশক ওষুধ খেতাম তখন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে আর হাঁটতে পারতাম না। গোটা বিশ্বকাপটা খেলেছি ফিজিও নীতীন প্যাটেলের দেওয়া আত্মবিশ্বাসে।” ইরফান পাঠানকে শামি জানান, ধোনি বিশ্বাস রেখেছিলেন বলেই গোটা টুর্নামেন্ট খেলতে পেরেছেন তিনি। টিম ইন্ডিয়ার পেসার বলেন,”সেমিফাইনালের আগে আমি আমার সতীর্থদের জানিয়েছিলাম, আর নিতে পারছি না। ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। তখন টিম ম্যানেজমেন্ট বলে, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুনঃলকডাউনে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টের স্মৃতিচারণায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
আরও পড়ুনঃক্রিকেটকে এখনও অনেক কিছু দেওয়া বাকি ধোনির, জানালেন তার সতীর্থ রায়না
অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আস্থা ছিল তাঁর উপর। তাই কখনও কখনও সামনে এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকে যে খেলতেই হয়।ধোনির প্রশংসা করে শামি বলেন, ‘মাহি ভাই আর টিমের সবাই আমাকে আত্মবিস্বাস যোগাতো। সেমিফাইনালে প্রথম ৫ ওভারে আমি মাত্র ১৩ রান দিই, একটা উইকেট পায়। কিন্তু তারপর মাহিভাইকে বলি, আমি আর বল করতে পারব না কারণ আমি হাঁটতে পারছি না। কিন্তু মাহিভাই বলেন, আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। আমি একটা ইঞ্জেকশন নিয়ে এসে আবারও বল করি। ধোনি বলল যে ও পার্ট-টাইম বোলারদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। আমি যেন ৬০ রানের বেশি না দিই, সেই চেষ্টা করতে বলল। আমি কেরিয়ারে এমন অবস্থায় আগে কখনও পড়িনি। অনেকেই বলেছিল যে, আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি তো এখনও খেলে চলেছি।” দেশের জন্য নিজের কেরিয়ারকে বাজি ধরার সামির এই গোপন তথ্য জানতে সকলেই কুর্ণিশ জানিয়েছেন ভারতীয় পেসারকে। আগামী দিনেও যাতে সাফল্যের সঙ্গে এইভাবে দেশের হয়ে খেলতে পারেন সামি সেই শুভ কামনাই করেছে তার অনুগামীরা।